মাত্র ৪৫ দিনে এক লক্ষ সই, নজির গড়লেন মহকুমা শাসক

মহকুমা শাসকের সহায়তায় এক মাসে প্রায় এক লক্ষ জাতিগত শংসাপত্র বিলি করল আলিপুরদুয়ার জেলা। জাতিগত শংসাপত্র বিলিতে রাজ্যে প্রথম স্থানে জেলা আলিপুরদুয়ার।

Bengal Live আলিপুরদুয়ারঃ মাত্র ৪৫ দিনে প্রায় এক লক্ষ শংসাপত্রে সই করে মানবিকতার নজির। দুয়ারে সরকার শিবির চলাকালীনই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের গ্রাহকদের জাতিগত শংসাপত্র দেওয়ার টার্গেট নিয়েছিল আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন। এবার মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকারের হাত ধরে জাতিগত শংসাপত্র বিলিতে রাজ্যে প্রথম জেলা আলিপুরদুয়ার।

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জাতিগত শংসাপত্র না থাকার দরুন লক্ষ্মীর ভান্ডারে জাতিগত সুবিধে পেতে অসুবিধে হচ্ছিল গ্ৰাহকদের। জেলায় একটি মাত্র মহকুমা হওয়ায় নিয়মানুযায়ী জেলার সব শংসাপত্রেই সই করতে হয়েছে মহকুমা শাসককে। তাই দিনে গড়ে প্রায় দু’হাজারের বেশি শংসাপত্রে সই করেছেন মহকুমা শাসক। ফলে এত দ্রুত জাতিগত শংসাপত্র বিলি করতে সক্ষম হয়েছে প্রশাসন। প্রসঙ্গত জাতিগত শংসাপত্র বিলিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মালদা।

এবিষয়ে জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা বলেন, এবছর দুয়ারে সরকারের শিবির শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১ লক্ষ জাতিগত শংসাপত্র বিলি করেছে আলিপুরদুয়ার প্রশাসন। এর মধ্যে দুয়ারে সরকারের শিবিরেই ৮৭ হাজার জাতিগত শংসাপত্রের আবেদন জমা পড়েছিল। সেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর এই বিপুল কর্মযজ্ঞে এক লক্ষ শংসাপত্রে সই করে করে রেকর্ড করেছেন মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার। প্রতিদিন প্রায় গড়ে দু’হাজারের বেশি শংসাপত্রে সই করেছেন তিনি।

অন্যদিকে মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার জানান, মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য সরকার মানুষের দুয়ারে যাচ্ছে। জাতিগত শংসাপত্র মানুষের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় নথি। এই কাজ ফেলে রাখা যায় না। তাই প্রায় লক্ষাধিক জাতিগত শংসাপত্রে সই করে সেগুলো বিলি করেছি ঠিকই। কিন্তু এই শংসাপত্রের আবেদন গ্রহন থেকে শুরু করে সার্টিফিকেটের ফাইনাল কপি বের হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে প্রচুর সরকারি কর্মীরা দিনরাত এক করে কাজ করেছেন।

Exit mobile version