আকাশে উড়ছে শকুনের দল, স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশনে গতিবিধির তথ্য আসছে বন দপ্তরে
খোলা আকাশে উড়ল আরও আট শকুন। স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগিয়ে পাখি উৎসবের শেষ দিনে মুক্ত করা হলো বিরল প্রজাতির আটটি শকুনকে।
Bengal Live আলিপুরদুয়ারঃ শনিবার বক্সা পাখি উৎসবের শেষদিন। আর এই উৎসবের শেষ দিনেই মুক্ত আকাশে ডানা মেলল আটটি বিলুপ্ত প্রজাতির শকুন। রাজাভাতখাওয়া প্রজনন কেন্দ্র থেকে ওই আট শকুনকে শনিবার আকাশে উড়িয়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে শকুন প্রজনন কেন্দ্রে চালু হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিলুপ্ত প্রায় শকুন উদ্ধার করে এই প্রজনন কেন্দ্রে রেখে তাদের বংশ বৃদ্ধি করা শুরু হয়।
খুশির খবর, বর্তমানে রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্রে চার প্রজাতির মোট ১৪০ টি শকুন রয়েছে। এই প্রজনন কেন্দ্র থেকে প্রথম দফায় ছয়টি শকুনকে আকাশে ছাড়া হয়েছিল। শনিবার দ্বিতীয় দফায় আরও আটটি শকুনকে আকাশে ছাড়া হল। শনিবার এই উপলক্ষে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে এসেছিলেন রাজ্যের বন্য প্রাণ বিভাগের প্রধান মুখ্য বনপাল বিনোদ কুমার যাদব। এর আগেই শকুনের সাধারণ কুঠুরি থেকে আট শকুনকে রিলিজ এভিয়ারিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, রিলিজ এভিয়ারিতে নিয়ে যাওয়া দুর্লভ দুটি হোয়াট ব্যাকড ও ছয়টি হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির হোয়াইট ব্যাকড ভালচার প্রজাতির শকুনকে এতদিন রিলিজ এভিয়ারিতে রেখে বাইরে চলাফেরায় অভ্যস্ত করা হয়। শনিবার রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপালের হাত ধরে তারা মুক্ত আকাশে ছাড়া পেল।
উল্লেখ্য, এই প্রথম প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নেওয়া কোনও শকুনকে মুক্ত আকাশে ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজাভাতখাওয়ায় প্রথম দফায় যে শকুন খোলা আকাশে ছাড়া হয়েছিল সেগুলো সবই ছিল বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা শকুন। জানা গিয়েছে, স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগিয়ে এই আট শকুনকে আকাশে ছাড়া হয়েছে। গত বছর এই শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে ছয় শকুনকে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন ট্যাগ লাগিয়ে খোলা আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। আকাশে উড়ে যাওয়া সেই শকুনগুলোর গতিবিধি সম্পর্কে নিয়মিত তথ্য পাচ্ছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প। ছেড়ে দেওয়া সেই সব শকুনেরা খোলা আকাশে অন্যান্য শকুনদের সাথে মিশে গেছে।
শুধু তাই নয়, বিভিন্ন লুপ্তপ্রায় শকুনের সঙ্গে মিশে প্রকৃতিতে বেশ ভালোই রয়েছে তারা। আর সেখান থেকে উৎসাহিত হয়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প আরও আট শকুনকে খোলা আকাশে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে বন দপ্তর। শনিবার ছিল পাখি উৎসবের শেষ দিন। এদিন এই উপলক্ষে রাজ্য বন দপ্তরের প্রশাসনিক প্রধান রবিকান্ত সিনহাও উপস্থিত ছিলেন।