কালিয়াগঞ্জের সভায় তৃণমূলকে পঁচিশ দিনের আলটিমেটাম যোগী আদিত্যনাথের
একদিনে উত্তরবঙ্গের তিন জায়গায় জনসভায় বক্তব্য রাখলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এদিন সকালে প্রথমে জলপাইগুড়ি জেলার মাল বাজারে, এরপর দার্জিলিঙ জেলার কার্শিয়ংয়ে এবং শেষে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে সভা করলেন বিজেপির অন্যতম স্টার ক্যম্পেইনার যোগী আদিত্যনাথ।
Bengal Live কালিয়াগঞ্জঃ উত্তর দিনাজপুর জেলার দুই বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে কালিয়াগঞ্জে জনসভা করলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ বুধবার কালিয়াগঞ্জ কলেজ মাঠে বিজেপির সভায় উপস্থিত হন তিনি৷ সারদা, নারদা প্রসঙ্গ ছাড়াও সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে এদিন “তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের” হুঁশিয়ারি দিয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, শুধরে যান, নয়ত ২ মে-এর পর পাতাল থেকে খুঁজে এনে জেলে পাঠানো হবে৷
এদিন বক্তব্যের শুরু থেকেই তৃণমূলের ভ্রষ্টাচার ও গুণ্ডাগিরির প্রসঙ্গ টেনে কড়া সমালোচনা করেন যোগী। তিনি বলেন, বাংলায় তৃণমূল অব্যবস্থা ও ভ্রষ্টাচারের রাস্তা তৈরি করেছে৷ যেখানে দুর্নীতি, সেখানেই টিএমসি। সারদা, নারদা, কয়লা এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে ভ্রষ্টাচার করেনি টিএমসি।
দুর্গাপূজা, সরস্বতী পূজাতে বাধা দিচ্ছেন দিদি। দিদি এতটাই ক্রুদ্ধ হয়ে উঠছেন যে, কেউ জয় শ্রীরাম বললেই তাকে জেলে পাঠানোর হুমকি দিচ্ছেন। উত্তর প্রদেশে কেউ পূজা, বা হোলি উদযাপনে বাধা দেয় না। এখানে দিদি জেলে পাঠানোর হুমকি দেয়। আর উত্তর প্রদেশে যারা দুর্গাপূজায় বাধা দেয় তাদেরকে জেলে পাঠানো হয়।
সভা মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়েই হুঁশিয়ারির সুরে যোগী বলেন, আর ২৫ দিন বাকি আছে। টিএমসির গুণ্ডারা কান খুলে শুনে নিন। এই পঁচিশ দিন আপনাদের সংশোধন করে নেওয়ার জন্য দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যেই নিজেদের শুধরে নিন। নইলে পাতাল থেকে খুঁজে এনে জেলে পাঠানো হবে।