জলমগ্ন মালদার বিস্তীর্ণ এলাকা, বন্যা নয়, প্লাবিত, বলছেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন
বন্যা হয়নি, প্লাবন হয়েছে মালদা জেলায়, জানালেন সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্র মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজর রাখা হয়েছে এই বন্যা পরিস্থিতির উপর ।
Bengal Live মালদাঃ বন্যা নয়, প্লাবিত মালদা, দাবি মন্ত্রীর।নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত জল পৌছয়নি তাই একে বন্যা বলবো না। বন্যার জলে প্লাবিত মালদা জেলার একাধিক গ্রাম নিয়ে এমনই কথা জানালেন সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্র মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। মালদা জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত বন্যার জলে।সেই জলে তলিয়ে গিয়েছে চাষের জমি। বাড়িঘর জলের তলায় চলে না গেলেও আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা।কেউ খুঁজে নিয়েছেন সুরক্ষিত স্থান কেউবা দিন কাটাচ্ছেন ত্রিপলের নিচে।
এবিষয়ে সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্র মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি খারাপ রয়েছে। তবে জল একটু একটু করে কমছে। পাঁচ সাতদিন এভাবে চলতে থাকলে তাহলে আমরা অনেকটাই ওভারকাম করতে পারবো। তাহলে এই বছরের মত জল আটকানো যাবে। আগামী দিনে যদি এই নিয়ে নতুন করে না ভাবা হয় তাহলে বছরের পর বছর বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।
উত্তরবঙ্গে তুমুল বৃষ্টির পূর্বাভাস
কিন্তু এই বন্যায় কালিয়াচক ৩নম্বর ব্লকে কোন বাড়ি নদী গর্ভে তলিয়ে যায়নি। চাষের জমি তলিয়ে গিয়েছে তবেওই এলাকার কাজ দেখাশোনা করে ফারাক্কা ব্যরেজ কতৃপক্ষ। ফারাক্কা ব্যারেজের অধীনে ডাউনে ৬.০৯ ও আপ স্ট্রিমে ১১ কিলোমিটার, সেখানে ভাঙ্গনের কবলে প্রায় ৩০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই ব্যাপারে আমাদের একটি বিশেষ দল দিল্লি যাচ্ছে ফারাক্কা ব্যারেজের ব্যাপারে। সেখানে ড্রেজিং এর ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যাওয়া হবে।
অন্যদিকে রতুয়া ১নম্বর ব্লকে যে জল ঢুকেছ তা ঠিক বন্যা নয় ওটা প্লাবনের ফলে জল , পাশাপাশি তিনি এও বলেন, রতুয়ার মতো ভূতনির অবস্থা খারাপ রয়েছে। সেই জন্য ইতিমধ্যে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ও মন্ত্রিরা আলোচনা করেছি। বাঁধ গুলোকে সংস্কার করা বিষয়ে বিহারের সাথে সংযুক্ত হয়ে বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা করব। কারণ ভুতনি যেমন পশ্চিমবঙ্গের মালদার একটা অংশে পড়ে তেমনি বিহার একটা অংশ পরে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বন্যা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে।