জলদাপাড়ায় রানীর মৃত্যু, শুরু তদন্ত
রানীর কুঠুরিতে ঢুকে বিষাক্ত কালাচ সাপ তাকে দংশন করে। এরপর শনিবার সকালে রানীর দেখভালের দায়িত্বে থাকা বনকর্মী তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।
Bengal Live আলিপুরদুয়ারঃ জলদাপাড়ার রানীর মৃত্যু, চরম চাঞ্চল্য বন প্রশাসন জুড়ে। প্রজাতিতে জার্মান শেপার্ড রানী ইতিমধ্যেই চোরাশিকার রুখতে গড়েছিল নানান রেকর্ড। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে বন দপ্তর।
বন দপ্তর সূত্রে খবর, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে রানীর কুঠুরিতে ঢুকে বিষাক্ত কালাচ সাপ তাকে দংশন করে। এরপর শনিবার সকালে রানীর দেখভালের দায়িত্বে থাকা বনকর্মী তার ক্যানেলে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। এবিষয়ে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডি এফ ও দীপক এম বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায় কালাচ সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে রানীর। সাপটি তার ক্যানেলে কিভাবে ঢুকলো সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করছে বনদপ্তর।
প্রসঙ্গত,গোয়ালিয়রে দীর্ঘ প্রশিক্ষণের পর ২০১৬ সালে রাজ্য বন দপ্তর জার্মান শেপার্ড প্রজাতির কুকুর রানীকে জলদাপাড়ায় আনে । তখন তার বয়স ছিল মাত্র নয় মাস। এরপর বীর বিক্রমে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে একের পর এক গণ্ডার চোরাশিকারি ধরতে সাহায্য করে রানী। বাইসন হত্যা করে ২০২০ সালে তা দিয়ে মহাভোজের আয়োজন করেছিল একদল চোরাশিকারি। রানীর দক্ষতায় সুভাষিনী চা বাগান থেকে সেই মাংস উদ্ধার করে বনদপ্তর। জলদাপাড়া ছাড়াও গরুমারায় গন্ডার শিকার সহ উত্তরের বিভিন্ন বনাঞ্চলে চোরাশিকারিদের পাকড়াও করতে ডাক পড়ত রানীর। গত রবিবার সকালে জলদাপাড়ায় রানীর দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা বনকর্মী তার কুঠুরিতে তাকে নিথর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। অত্যন্ত বিচক্ষণ ও দক্ষ জার্মান শেপার্ড রানীর সাপের কামড়ে অকাল মৃত্যুতে শোকোস্তব্ধ জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান, রাজ্য বন প্রশাসনও একে এক বিশাল ক্ষতি হিসেবে মনে করছে। ঘটনাটি সম্পূর্ণরূপে খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বনবিভাগ