করোনা কেড়েছে কুটির শিল্পের পসরা, পেট চালাতে অন্য পেশায় শিল্পীরা

করোনার জেরে ধুঁকছে কুটির শিল্প।শিল্প বাঁচাতে ও সংসারের খরচ টানতে সরকারি সাহায্যের দাবি শিল্পীদের।

 

Bengal Live জলপাইগুড়িঃ  করোনার জেরে সারা দেশের পাশাপাশি আতঙ্কগ্রস্থ পশিমবঙ্গও। এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়েছেন সমাজের প্রায় সকল শ্রেণীর মানুষ।কিন্তু তার মধ্যেও সবথেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বাংলার কুটির শিল্প ও শিল্পীরা। করোনা আবহে প্রায় দেড় বছর থেকে বন্ধই রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন মেলা। তাই কুটির শিল্প প্রদর্শন বা তার থেকে উপার্জনের পথও রয়েছে বন্ধ। আর এতে সমস্যায় পড়েছেন জলপাইগুড়ি জেলার কুটির শিল্পীরা।

জলপাইগুড়ি জেলায় প্রায় পাঁচশোর মত শিল্পী আছেন। তবে পেট চালাতে তাদের অনেকেই এখন যুক্ত হয়েছেন অন্য পেশার সাথে । কেউ করছেন সবজি বিক্রি, কেউ চালাচ্ছেন অন্যের টোটো, কেউ আবার কাজ করছেন রঙ মিস্ত্রীর সাথে। শিল্পীরা জানিয়েছেন, রাজ্যে মেলা বন্ধ থাকায় দুই বছর ধরে সমস্যায় আছেন তারা। সংসারের খরচ টানতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের। কুটির শিল্পকে বাঁচাতে সরকারি সাহায্যের দাবি করছেন শিল্পীরা।

BachpanKaPyaar: বাদশার সঙ্গে দেখা করে এলো ‘জানে মেরি জানেমান…’ খ্যাত খুদে

বেত শিল্পী মিঠু দাস বলেন, সংসারে মা, বাবা দুই বোন নিয়ে আমাদের পরিবার। পরিবারের প্রধান উপার্জনকারি ব্যাক্তি আমি। আগে বেতের সামগ্রী বানিয়ে বিভিন্ন মেলায় বিক্রি করে সংসার চালাতাম। এখন অন্যের দোকানে কাজ করতে হচ্ছে। এতে সংসারের খরচ চালাতে হিমসিম খাচ্ছি। অন্যদিকে হস্ত শিল্পের সাথে যুক্ত রিতা চৌধুরী ও টুম্পা দে বলেন আমরা রাজ্যের যে কোন জায়গায় মেলায় হাতে তৈরী পুথির ব্যাগ , পাঠের তৈরী ম্যাট, চটের ব্যাগের স্টল দিতাম। করোনা পরিস্থিতিতে মেলা বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছি । টুক টাক হাতের কাজ করেও সংসার চলছে না। সরকার যদি কোন রকম সাহায্য করত তাহলে খুব ভাল হত।

প্রচুর পরিমাণে আধার কার্ড উদ্ধার রাস্তার ধার থেকে

Exit mobile version