বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য শীতলকুচিতে
সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন বিজেপি কর্মী ধীরেন্দ্র বর্মণ। রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজখবর। রাতেই মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
Bengal Live কোচবিহারঃ বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো কোচবিহারের শীতলকুচিতে। মৃত বিজেপি কর্মীর নাম ধীরেন্দ্র বর্মণ (৫০)। সোমবার সকালে জমিতে কাজ করতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ধীরেন্দ্র বর্মণ। রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় খোঁজখবর শুরু করেন দলীয় কর্মী ও পরিজনেরা। এরপর রাতেই স্নান ঘাট গ্রামের বাঁশ ঝাড় থেকে ধীরেন্দ্র বর্মণের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতের গলায় ও যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। শীতলকুচির ২৩৪ নং বুথের বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি।
বিজেপি কর্মীর রহস্য মৃত্যু নিয়ে বিজেপির শীতলকুচি কেন্দ্রের বিধায়ক বরেন চন্দ্র বর্মণ বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস খুন করেছে দলের সক্রিয় কর্মীকে। এর আগেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। বিজেপি দল ছাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল তৃণমূল কংগ্রেস।”
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের দাবি, “এই ঘটনার সাথে দলের কোনও যোগ নেই৷ যেকোনো মৃত্যুকে নিয়ে বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে৷ বিজেপি সন্ত্রাস করছে অথচ তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে দোষারোপ করে মিথ্যা রাজনীতি করে এলাকা উত্তপ্ত করতে চাইছে।”
মৃত্যুকে ঘিরে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস পাল্টা অভিযোগ করলেও মৃতের মেয়ে পল্লবী বর্মণের দাবি, “বাবা বিজেপি করত৷ তবে কোনও রাজনৈতিক কারনে খুন কিনা তা জানা নেই৷ তাই কোনো দলকে দোষারোপ করতে চান না তাঁরা।” ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার৷
মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।