আশ্বাস মিললেও হয়না সুরাহা, জলকষ্টে ধুঁকছে তপন ব্লক!
প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক আশ্বাস মিললেও সুরাহা হয়না জলকষ্টের। বছরের পর বছর প্রায় এক দুই কিলোমিটার দূরে গিয়ে জল আনতে হয় খরা প্রবণ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের বাসিন্দাদের।তাই অতি দ্রুত এই জল কষ্ট দূর করার দাবিতে আবারও প্রশাসনের কাছে ব্লকবাসীর।
Bengal Live তপনঃ ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়না। প্রতি বছরই গ্রীষ্মে তীব্র জলকষ্টে ভোগেন খরা প্রবণ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের বাসিন্দারা। কখনও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে আবার কখনও বা প্রায় এক দুই কিলোমিটার দূরে গিয়ে সংগ্রহ করতে হয় জল। প্রশাসনের কাছে আবেদন করলেও এবিষয়ে উদাসীন তারা। ভোটের সময় রাজনৈতিক দলের নেতারা তাদের জল কষ্ট দূর করার প্রতিশ্রুতি দেন ঠিকই। কিন্তু ভোট মিটলে তা আর পূরণ হয়না। ফলে এই তীব্র জলকষ্ট নিয়েই দিন কাটাটে হয় তপন ব্লকের বাসিন্দারা । বাসিন্দারা জানান, ইতিমধ্যে তপনে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রিজার্ভার তৈরীর কাজ শুরু হলেও তা কবে শেষ হবে তা জানেন না তারা। ব্লকবাসীদের দাবি, তাদের আবদনে সাড়া দিয়ে অতি দ্রুত এই জল কষ্ট দূর করুক প্রশাসন।
বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে জল, কার্যত বন্যা পরিস্থিতি মালদায়
এই বিষয়ে তপন ব্লকের এক বাসিন্দা রতন দাস জানান, আমরা তপন ব্লকে জন্ম নিয়ে খুব ভুল কাজ করেছি। আমরা হয়তো একদিন এই জলকষ্টে মারা যাবো। জল আনতে প্রায় দুই তিন কিলোমিটার দূরে যাই আমরা। সেখানে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে জল নিতে হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েতে এই বিষয়গুলো জানলেও পঞ্চায়েত থেকে জানানো হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বালাপুরে জলের রিজার্ভার তৈরীর কাজ চলছে। কিন্তু আজ অবধি সেই কাজ শেষ হয়নি। তাই আমরা চাই অতি দ্রুত এই জলকষ্টের হাত থেকে আমাদেরকে বাঁচাক প্রশাসন।
শুধুমাত্র ‘কোউইন’ই নয়, এখন হোয়াটসঅ্যাপেও মিলবে ভ্যাকসিনের শংসাপত্র
অন্যদিকে তপন ব্লকের বিডিও মাসুদ করিম শেখ বলেন, আমরা জানি তপন ব্লক খরাপ্রবণ।তাই এলাকার মানুষের কথা ভেবেই আমরা তপন ব্লকের পক্ষ থেকে বালাপুর এলাকায় একটি জলের রিজারভার তৈরির কাজ করছি।খুব দ্রুত শেষ হবে এই রিজারভারটির কাজ। এই কাজ শেষ হলেই তপনে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে জল।