ওঝার কেরামতিতে বিনা চিকিৎসায় প্রাণ গেল বধূর, ডিজিটাল যুগেও অন্ধ বিশ্বাস !

ওঝার কাছে সময় নষ্ট। সাপে কাটা রোগী মারা গেলেন বিনা চিকিৎসায়। সচেতনতার প্রচার করেও মিলছে না ফল। একই ভাবে পরপর দুই রোগীর মৃত্যু।

Bengal Live জলপাইগুড়িঃ ওঝার কেরামতিতে সময় নষ্ট। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গৃহবধূ। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ওঝা। শোকের ছায়া জলপাইগুড়ি রাহুত বাগান এলাকায়। বছর দুয়েক আগেও সর্পদংশনের পর বিজ্ঞানসম্মত ডাক্তারি চিকিৎসার বদলে কবিরাজকে দিয়ে ঝাড়ফুঁকের মাশুল গুনতে হয়েছিল রাহুত বাগান এলাকার বাসিন্দাদের৷ সেইবার এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। এরপরেও শিক্ষা না নিয়ে ফের একই পন্থা অবলম্বন করার ফলে আবারও এক গৃহবধূর প্রাণ গেল অকালে।

রাতের অন্ধকারে স্কুলের বারান্দায় মাদকাসক্তদের আড্ডা, আটক ৫

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে ছোট বাচ্চাকে নিয়ে ঘরে খেলতে খেলতে খাওয়াচ্ছিলেন বছর তিরিশের গৃহবধূ রুমা ভাওয়াল। সেই সময় ডান পায়ের বুড়ো আঙুলে হঠাৎ জ্বালা অনুভব করেন রূমা। বাড়ির পরিজনদের ক্ষতস্থান দেখালে, রূমাকে বীরেন্দ্র ভাওয়াল নামে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যান পরিজনেরা। জানা গেছে, রুমা দেবীর পায়ে দড়ি বেধে ক্রমাগত বিষ টেনে বার করার চেষ্টা করেন ওই ওঝা। কিন্তু তার সব চেষ্টাই বিফলে যায়। পরিস্থিতি জটিল আকার নিলে অবশেষে রোগীকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে এলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

অ্যালেক্সায় যুক্ত হচ্ছে অমিতাভের কন্ঠ

ঘটনায় জলপাইগুড়ির পরিবেশ কর্মী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী বলেন, খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। আমি খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে এলাম। ক্ষতস্থান দেখে প্রাথমিক অনুমান, এটি বিষধর সাপের দংশন। বছর দুয়েক আগে এই এলাকায় একই ভাবে সর্পদংশনে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। তারপর আমরা ওই এলাকায় সচেতনতা প্রচার চালিয়েছিলাম। কিন্তু দুই বছর পার হতে না হতেই আবার এই মর্মান্তিক পরিণতি। আমরা আবার ওই এলাকায় সচেতনতা প্রচার চালাবো।

ঘটনায় জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নষ্কর জানিয়েছেন, সাপে কাটা রোগীটিকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। চিকিৎসার কোনো সুযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

ক্যান্সার রোধ করে ক্যাপসিকাম, জেনে নিন লাল ও সবুজ ক্যাপসিকামের পুষ্টিগুণ

Exit mobile version