উত্তরবঙ্গের প্রাক্তন মন্ত্রীর নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নিল সরকার, ভোটের আগে জল্পনা
নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়া হল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরীর। মঙ্গলবার রাতেই নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে নির্দেশ আসে বলে জানা গেছে। বুধবার সকাল থেকে আর দেখা যায়নি নিরাপত্তারক্ষীদের৷ নির্বাচনের আগে প্রাক্তন মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়ার ঘটনায় শোরগোল মালদায়।
Bengal Live মালদাঃ আচমকাই নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়া হল প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর। বুধবার সকাল থেকে প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা যায়নি তাঁর তিন সশস্ত্র নিরাপত্তা রক্ষীকে। যা নিয়ে রীতিমতো জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ইংরেজবাজারের তৃণমূল বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষের বাড়ি ভাঙচুর এবং হামলার ঘটনা ঘটে। প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী ও তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস সহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। শুরু হয় ধরপাকড়। এমতাবস্থায় প্রাক্তন মন্ত্রীর নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়ায় জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে মালদা জেলা জুড়ে।
দীর্ঘদিনের ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলেছেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। তিনি রাজ্যের পর্যটন ও উদ্যান পালন দপ্তরের মন্ত্রীর পদও সামলেছেন। বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন কৃষ্ণেন্দুবাবু । দীর্ঘদিনের মালদার বর্ষীয়ান নেতা হিসাবে পরিচিত তিনি। তাই হঠাৎ করে তাঁর সশস্ত্র নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়ার বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নীহার রঞ্জন ঘোষের বাড়িতে হামলা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছিলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হয়েছে। এবং তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন পুলিশ সুপার।
এই ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর নিরাপত্তা রক্ষী সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার রাতে আমার এক নিরাপত্তা রক্ষীর কাছে ফোন আসে ক্লোজ করার জন্য। এরপর তাঁদের চলে যেতে বলি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি দেখছেন।