ঘরের কোণে দড়ি বাঁধা অবস্থাতেই দিন কাটাচ্ছে রঘুনন্দন গিরি
দারিদ্র্যতায় মেলেনি চিকিৎসা, ঘরের কোণে দড়ি বাঁধা অবস্থাতেই দিন কাটাচ্ছে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন অসুস্থ কিশোর।
Bengal Live আলিপুরদুয়ারঃ ছেলেকে ঘরে বেঁধে রেখেই রোজ অন্ন সংস্থানে বেরিয়ে পড়েন মা-বাবা। ঘরের কোণে অপেক্ষায় থাকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছেলে রঘুনন্দন । দীর্ঘদিন দিন ধরে এমন ভাবেই দিন কাটছে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের ধনিরামপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯ নম্বর অংশের মেছুয়াধুরা বালাবাথন এলাকার বছর ষোলোর রঘুনন্দন গিরির।
আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ২৬ লক্ষ টাকা ছিনতাই
রঘুনন্দনের মা পরিচারিকার কাজ করেন আর বাবা করেন মাধুকরী, এইভাবেই সংসার চলে তাঁদের। চরম দারিদ্র্যের কারণে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন অসুস্থ ছেলের চিকিৎসাও করাতে পারছেন না তাঁরা। নিরুপায় হয়ে তাকে ঘরে বেঁধে রেখেই বেরোতে হয় মা বাবাকে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,জন্মের পরে রঘুনন্দনের কোনও বৈকল্য দেখা যায়নি, বাকি শিশুদের মতোই স্বাভাবিক ছিল সে। কিন্তু তিন বছর বয়স পেরোনোর পর থেকেই তার কথা বলার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। ধীরে ধীরে রঘুনন্দনের শরীরের নিম্নাংশে জড়তা দেখা দিতে শুরু করে। যদিও এখন তার দুই পায়ে সামান্য শক্তি ফিরে এসেছে, কিন্তু চিরতরে হারিয়ে গেছে তার কথা বলার ক্ষমতা।
রঘুনন্দনের মা ফুলতি গিরি জানিয়েছেন, ” ছেলের জন্মের পর তিন বছর বয়স পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিল সব । কিন্তু তারপর থেকেই ওর কথা বলার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। শরীরের নিচের দিক অবশ হয়ে যায়। পরে পায়ের জোর সামান্য ফিরে এলেও মুখের ভাষা আজও ফেরেনি। ভিক্ষাবৃত্তি করে কোনরকমে সংসার চালান ওর বাবা, তাই ছেলের চিকিৎসাও ঠিক মতো করাতে পারিনি আমরা। এখন ছেলের বয়স ১৬। পেট চালাতে আমাদের কাজে যেতে হয়, তাই কাজে যাবার সময় ছেলেকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে যাই।” পাশাপাশি ফুলতি দেবী কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বা সরকারি তরফে তার বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন ছেলের চিকিৎসায় সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।