পুজোর মুখেও মিলছে না বরাত , মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের
যে কয়েকটি বায়না আসছে তাতেও লোকসানের মুখে পড়ে দেবী প্রতিমা বানানোর কাজে হাত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
Bengal Live মালদাঃ গত বছর থেকেই করোনা আবহে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর উদযাপনে ভাটা পড়েছে। এ বছর পুজো আসতে হাতে রয়েছে আর মোটে ৩৫ দিন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেভাবে বরাত মেলেনি দুর্গা প্রতিমা তৈরির, আর তাতেই মাথায় হাত পড়েছে মালদা জেলার মৃৎশিল্পীদের। আবার অনেক ক্ষেত্রে মৃৎশিল্পীরা প্রতিমার বায়না আসলেও তা ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। কারণ, করোনার জেরে অধিকাংশ ক্লাব এবার জাঁকজমক এড়িয়ে কেবল নিয়ম মেনে পুজো সারতেই আগ্রহী, তাই তাদের বাজেটও কম। কিন্তু অতো অল্প মুনাফায় মূর্তি গড়ে দেওয়া প্রতিমা শিল্পীদের জন্য অসম্ভব। তবুও হাতে রয়েছে আরও যে কয়েকটি দিন তাতে যদি কিছু দুর্গা প্রতিমা তৈরীর বরাত পাওয়া যায়, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন মালদা শহরের বেশ কিছু মৃৎশিল্পী।
তামিলনাড়ুর ছিনতাই হওয়া ট্রাক উত্তরবঙ্গে, ধৃত ২
মালদা শহরের ফুলবাড়ী , আন্ধারুপাড়া , পাকুড়তলি, বালুরচর, জুবলি রোড , বিনয় সরকার রোড সহ বিভিন্ন এলাকায় গেলেই চোখে পড়বে মৃৎশিল্পীদের কারখানা। অন্য বছর এইসময় দম ফেলার ফুরসত থাকেনা তাদের। কিন্তু এবারে এখনো দুর্গা প্রতিমা তৈরির বরাত না মেলায় এখনও বিশ্বকর্মা, গণেশ কিংবা লক্ষী ঠাকুরের মূর্তি তৈরির কাজই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা ঢিমেতালে। আর যারা ভাগ্যচক্রে কিছু দুর্গা মূর্তি তৈরির বায়না পেয়েছেন তাঁরা নিজেদের পরিবারের লোকেদেরই সাহায্য নিচ্ছেন প্রতিমা তৈরিতে। কারণ, করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিক পাওয়া হয়ে উঠেছে দুষ্কর। এছাড়া প্রতিমা তৈরির নানা উপকরণের দাম একধাপে বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই। তাই এত অল্প মুনাফায় বাড়ির পুরুষ এবং মহিলা সদস্যদের নিয়েই দেবী মূর্তি তৈরির কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন অনেক মৃৎশিল্পীই।
জন্মদিনে স্নান করতে গিয়ে মহানন্দায় তলিয়ে গেল বছর সাতের শিশু
জুবিলি রোড সংলগ্ন এলাকার মৃৎশিল্পী স্বপন পন্ডিত , চন্দন পন্ডিত জানিয়েছেন, করোনার জেরে চরম সংকটের মধ্যে পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা। গত বছর মহামারীর মধ্যেও বরাত পেয়েছিলাম বেশকিছু দুর্গা প্রতিমা তৈরীর । কিন্তু এবছর কয়েকটি বিশ্বকর্মা এবং গণেশ মূর্তি তৈরির বরাত পেলেও এখনও পর্যন্ত একটি ক্লাবেরও দুর্গা প্রতিমা তৈরীর বায়না আসেনি। অধিকাংশ ক্লাব কর্তারা এবার চাইছেন ছোট করে পুজো সারতে। গত বছর প্রতিমা তৈরীর যা দাম ছিল, তার অর্ধেক দামে এবার প্রতিমা চাইছেন পুজো উদ্যোক্তারা। ফলতঃ লোকসানের মুখে পড়ে দেবী প্রতিমা বানানোর কাজে হাত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি তাঁরা এও বলেন, এমতাবস্থায় তাঁদের একান্ত প্রয়োজন সরকারি ভাতার। এই দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে তাই সরকারি সাহায্য পাওয়ার আশায় দিন গুনছেন তাঁরা।