এবার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে রেশন, উপভোক্তার ফোনে যাবে SMS
এবার থেকে নির্দিষ্ট ব্যক্তির রেশন তিনি ছাড়া তুলতে পারবেন না অন্য কেউ। রেশন তুললেই গ্রাহকের ফোনে যাবে এসএমএস। মুখ্যমন্ত্রীর ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পে বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেবেন ডিলাররা।
Bengal Live ডেস্কঃ চলতি বছরের মে মাসেই রাজ্যে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের কাজ। একুশের নির্বাচনের পরেই রাজ্যে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প চালু হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এই প্রকল্পে বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেবেন ডিলাররা। রেশন তুললেই গ্রাহকের ফোনে যাবে এসএমএস। ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পে কী ভাবে রেশন পৌঁছনো হবে তা ঠিক করতে প্রত্যেক জেলায় পাইলট প্রজেক্ট শুরু করল রাজ্য খাদ্য দফতর।
এই কাজের জন্য ২৫টি রেশন দোকান ঠিক করা হয়েছে, যারা গাড়ি করে উপভোক্তাদের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেবেন রেশন। এক্ষেত্রে এটিএম-এ টাকা তুললে যেমন ফোনে এসএমএস আসে, ঠিক একইভাবে এবার থেকে রেশন তুললেই গ্রাহকের ফোনে চলে যাবে এসএমএস । ফলে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির রেশন তিনি ছাড়া অন্য কেউ তুলতে পারবেন না। জানা গিয়েছে, বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার গাড়িতে থাকবে ই-পস বা ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অফ সেল মেশিন। এর মাধ্যমে উপভোক্তার আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হবে।
বিশাল ধস, বাংলা-সিকিম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
আঙ্গুলের ছাপ ছাড়া কাউকে রেশন দেওয়া হবে না। আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া মাত্রই উপভোক্তার ফোনে চলে যাবে এসএমএস। এছাড়া থাকবে ওজন মাপার মেশিন।যার মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওজন করে রেশন দেবেন ডিলাররা। প্রতিটি পরিবারে চাল, গম মিলিয়ে প্রায় ২০ থেকে ২৫ কেজি রেশন পৌঁছে যাবে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মূহুর্তে রাজ্যে মোট রেশন দোকানের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার ৭০০ টি। এই প্রকল্পে রেশন দোকানেগুলির ওপর থেকে চাপ কমাতে দোকান প্রতি গ্ৰাহক সংখ্যা কমানো হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যেক ডিলার সর্বাধিক ৭০০০ গ্ৰাহকের কাছে রেশন পৌঁছে দেবেন। এর জন্য রাজ্যে তৈরি করা হচ্ছে আরও ১০০০ নতুন রেশন দোকান।