শিশুরা আসতে পারছে না বিদ্যালয়ে, তাই এবার বিদ্যালয় পোঁছে যাবে শিশুদের কাছে।জলপাইগুড়িতে উদ্বোধন হল “শিক্ষার পরশ” নামে একটি ভ্রাম্যমান বাসের, যা শিক্ষার সামগ্রী এবং শিক্ষক সহ পৌঁছে যাবে ছাত্রছাত্রীদের কাছে।
Bengal Live জলপাইগুড়িঃ দীর্ঘদিন যাবত করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে বিদ্যালয়গুলি। শিশুরা আসতে পারছে না বিদ্যালয়ে তাই এবার বিদ্যালয়ই পৌঁছে যাবে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে। একটি ভ্রাম্যমান বাসে থাকবে শিক্ষার বিভিন্ন সামগ্রী, থাকবেন শিক্ষকও।
এই ভ্রাম্যমান বাসটির নাম দেওয়া হয়েছে “শিক্ষার পরশ”। শুক্রবার জলপাইগুড়ির জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু উদ্বোধন করেন “শিক্ষার পরশ নামে ভ্রাম্যমান বাসটির। এই বাসে থাকবেন দুজন করে শিক্ষক। তাঁরা বইপত্র সহ শিক্ষার বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে যাবেন জলপাইগুড়ি জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের কাছে। মূলত যেসব পড়ুয়ারা ইন্টারনেটের সুবিধা এবং অত্যাধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত তাদের হাতে কলমে শিক্ষা দেবেন তাঁরা। তাদের পড়াশোনা সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সহায়তা করবেন ওই ভ্রাম্যমান বাসের শিক্ষকরা।
মিড ডে মিলের ডালে পোকা ও ফাঙ্গাস, ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা
জলপাইগুড়ি জেলার জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানিয়েছেন, এই গাড়িটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘শিক্ষার পরশ’। লকডাউনে যেহেতু স্কুলগুলো বন্ধ রয়েছে তাই যাদের আন্ড্রয়েড ফোন বা ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি নেই তাদের পড়াশোনায় সাহায্য করার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই গাড়িটি আপাতত শহরের জন্য নয়। এটি শুধুমাত্র প্রত্যন্ত গ্রাম বা চা বাগান সংলগ্ন এলাকার পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছে।
এই গাড়িতে জেরক্স মেশিন থেকে শুরু করে প্রিন্টার সহ ল্যাপটপ এর সুবিধা রয়েছে। এই সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি রুটম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। তিনি এও জানান, গাড়ীটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে যাওয়ার আগে জানানো হবে। প্রতিটি লটে আপাতত দুজন করে শিক্ষক বা শিক্ষিকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে প্রয়োজনে তা বাড়ানো হবে। এই উদ্যোগে সামিল হতে পেরে ভীষণ ভাবে আগ্রহী শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
দুটি কিডনি বিকল, জীবন ভিক্ষার কাতর আর্জি কালিয়াগঞ্জের অচিন্ত্য বিশ্বাসের