ডুয়ার্সে অন্যরকমের বিশ্বকর্মা পূজার সাক্ষি থাকলেন পর্যটকরা৷ গরুমারা জাতীয় উদ্যানের অন্তর্গত বিটে থাকা ২০ টি কুনকি হাতি বসন্ত, ফাল্গুনি, বর্ষণ, রাজা, ভোলানাথের মতন কুনকি হাতিদের মহাকাল বলে বিশ্বকর্মার বাহন হিসেবে পূজা করা হয়।
Bengal Live জলপাইগুড়িঃ অভিনব বিশ্বকর্মা পূজার আয়োজন ডুয়ার্সে। বনকর্মী ও বনবস্তিবাসীদের উদ্যোগে মহাকাল পূজা সম্পন্ন হল গরুমারা জাতীয় উদ্যানে। অভিনব এই পূজার সাক্ষী হলেন বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত পর্যটকরা। পূজা দেওয়ার পাশাপাশি ভূড়িভোজে সামিল হলেন তাঁরাও।
বিশ্বকর্মার বাহন হাতি। তার জন্যই এমন আয়োজন বলে জানানো হয়েছে বনবিভাগের পক্ষ থেকে। এদিন সকাল থেকেই সাড়ম্বরে মহাকাল তথা হাতি পূজা অনুষ্ঠিত হয় জঙ্গলে। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের অন্তর্গত বিটে থাকা ২০ টি কুনকি হাতি বসন্ত, ফাল্গুনি,বর্ষণ,রাজা, ভোলানাথে মতন কুনকি হাতিদের মহাকাল বলে বিশ্বকর্মার বাহন হিসেবে পূজা করা হয়।
পূজায় উপস্থিত পর্যটক নেহা সৈয়দ বলেন, প্রতি বছর আমরা হাতি পূজা দেওয়ার জন্য ছুটে আসি ডুয়ার্সে।কারণ মূর্তি পূজা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এবং সংস্থায় হয়ে থাকে। কিন্তু বিশ্বকর্মার বাহনরূপে জ্যান্ত হাতির পূজা ডুয়ার্সের ধূপঝোরাতে দেখতে পাওয়া যায়। আমরাও এতে অংশগ্রহণ করি খুবই আনন্দ দেয় আমাদের।
অপর পর্যটক মুনমুন ব্যানার্জি বলেন, আমরা ভাবতেই পারিনি এত সুন্দর ভাবে হাতিদের পূজা করা হয়। জীবনে এই প্রথম দেখলাম জ্যান্ত হাতির পূজা। বিশ্বকর্মার বাহন রূপে পূজিত হল কুনকি হাতি। এক দারুন অনুভুতি।
জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণী বিভাগের ডিএফও নিশা গোস্বামী বলেন, প্রতিবছর সকলে মিলে কুনকি হাতি পূজা করা হয়। পার্শ্ববর্তী বস্তিবাসীর মানুষের অংশগ্রহণ করে যেহেতু সারা বছর মাউতদের হাতিকে সঙ্গী করে চলতে হয়। তাই তারা কুনকি হাতি দের পূজা দিয়ে থাকেন।