দিলীপ ঘোষকে গো ব্যাক জানালো পাহাড়, বিমল গুরুংপন্থীদের তুমুল বিক্ষোভ
দার্জিলিঙে ফের বিক্ষোভের মুখে দিলীপ ঘোষ। বিমল গুরুং পন্থী মোর্চা নেতাদের বিক্ষোভের মুখে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
Bengal Live দার্জিলিঙঃ পরিবর্তন যাত্রার রথ নিয়ে দার্জিলিঙে দিলীপ ঘোষ পৌঁছতেই উঠল গো ব্যাক স্লোগান। দেখানো হল কালো পতাকা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা পাহাড়ে। বিমল গুরুং পন্থী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সদস্যরা এদিন ঘুম থেকে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিং, সাংসদ রাজু বিস্তার গাড়ি পৌঁছতেই গো ব্যাক স্লোগানের তীব্রতা বাড়াতে থাকে মোর্চা সমর্থকেরা। তবে সব কিছুকে পাশ কাটিয়ে দার্জিলিঙের জন্য গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যান দিলীপ ঘোষ। বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উত্তাপে উত্তপ্ত শৈলশহর দার্জিলিঙ।
মঙ্গলবার কলকাতা থেকে বাগডোগরা বিমান বন্দরে পৌঁছান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অর্জুন সিংকে সাথে নিয়ে পরিবর্তন যাত্রা নিয়ে পাহাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সাথে ছিলেন পাহাড়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা।
কয়েকবছর আগে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে নিগৃহীত হতে হয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। এরপর একাধিকবার শিলিগুড়িতে এলেও আর পাহাড়ে উঠতে দেখা যায়নি বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। মঙ্গলবার পরিবর্তন যাত্রায় ফের একবার পাহাড়ে উঠতে গিয়েই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল দিলীপ ঘোষকে৷
এই বিষয়ে বিমল গুরুং পন্থী বিক্ষোভরত গোর্খা সমর্থকদের দাবি, পাহাড় তিন বার বিজেপিকে জিতিয়েছে। কিন্তু গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে কোনও কাজই করেনি বিজেপি। তাই এবার তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন দেওয়ার কথা বলেছেন বিমল গুরুং৷ পাহাড়বাসী আর বিজেপিকে চাইছে না। সেই কারণেই এদিন বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।
এদিকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, পাহাড়ের মানুষ দীর্ঘদিন থেকে বঞ্চিত। তাঁদের নিজস্ব কিছু দাবি আছে। সেই দাবির সাথে সবাই সহমত হতে না পারে, কিন্তু তাদের বিকাশ হওয়া উচিৎ। তাঁদের দুঃখ কষ্ট দূর করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। কিন্তু পাহাড়ের নেতারা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমি একমাত্র দেখা করতে গিয়েছিলাম পাহাড়ের মানুষের সাথে, কিন্তু আমার উপর গুন্ডা লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই সবাইকে বোঝাতে আজ আবার যাচ্ছি। এদিকে ২০১৭ সালে বিমল গুরুং বিজেপির সমর্থনে ছিলেন, আজ তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন, এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, তিনি পাহাড়ের নীচে। পাহাড়ের লোকের সাথে বিমল গুরুং যেই ব্যবহার করেছেন তা কেউ মেনে নিতে চাইছেন না। তাই পাহাড় বিজেপির সাথেই রয়েছে।