হাতির হানায় মৃত্যু সিভিক ভলান্টিয়ার ও চৌকিদারের

হাতির হানা অব্যাহত মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকে। এদিনও ফের দুই ব্যক্তির মৃত্যু হল হাতির আক্রমণে৷ ক্ষতিপূরণ দেবে বন বিভাগ।

ব্যাঙ্ক একাউন্টের সাথে আধার লিঙ্কের অন্তিম তারিখ ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

Bengal Live আলিপুরদুয়ারঃ হাতির হানা অব্যাহত মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকে। একই দিনে স্বল্প সময় ও দূরত্বের ব্যবধানে মৃত্যু হল থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও ডিমডিমা চা বাগানের এক চৌকিদারের। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে সংশ্লিষ্ট ব্লকের ডিমডিমা চা বাগানে। মৃত চৌকিদারের নাম শ্রীলাল হেমব্রম ও সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম সুধীর বৈরাগী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে কাজে বেরিয়ে হঠাৎ একটি দাঁতাল হাতির সামনে পরে যান ডিমডিমা চা বাগানের চৌকিদার শ্রীলাল। পালানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। মুহূর্তের মধ্যেই হাতিটি ওই ব্যক্তিকে শুড় দিয়ে আছাড় মেরে ক্ষতবিক্ষত করে। এর সামান্য কিছু দূরেই ছিলেন শ্রীলালের সঙ্গী। তিনি পালিয়ে প্রাণে বেঁচে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় শ্রীলালের।

কাগজের কাপে চা খাওয়া মারাত্মক ক্ষতি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

অপর দিকে একই ব্লকের বীরপাড়া বিরবিটি গ্রামের বাসিন্দা সুধীর বৈরাগী পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। এদিন সকালে গবাদি পশুর খাবার জোগার করতে গিয়ে হাতির সম্মুখীন হন। তার ক্ষতবিক্ষত মৃত দেহ ডিমডিমা চা বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়। বিরবিটির বাসিন্দা সুভাস রায় বলেন, ঘাস কাটতে গিয়ে হাতির হানায় সুধীর ক্ষতবিক্ষত হয়। সিভিক কর্মীর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি ফরেস্ট ডিভিশনের দলগাঁওয়ের রেঞ্জার দোরজি শেরপা বলেন, “মৃত শ্রীলাল ও সুধীরের পরিবার সরকারি নিয়ম অনুযায়ী চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। আপাতত মৃতের পরিবারের হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রযোজনীয় কাগজ পেলেই কালী পূজোর আগেই ২ লাখ টাকা দেওয়া হবে। বাকী ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পরে দেওয়া হবে।”

Exit mobile version