রাজ্য

বায়না করেও বাতিল করছেন অনেকে, দুশ্চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা

ছবিটা পালটে গিয়েছে এই বছর। যেই সময় নাওয়া খাওয়ার সময় থাকেনা মৃৎশিল্পীদের, সেই সময় বায়নার অপেক্ষায় পূজা উদ্যোক্তাদের মুখ চেয়ে বসে রয়েছেন কুমোরটুলির শিল্পীরা।

Bengal Live আলিপুরদুয়ারঃ করোনা ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি মাস কেড়ে নিয়েছে সাধারণ মানুষের জীবন থেকে। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। আর্থিক অনটনের সম্মুখীন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সমস্ত স্তরের বাসিন্দারা। এমন পরিস্থিতিতে চলতি বছরে একাধিক উৎসবই হয়েছে নিয়ম রক্ষার৷ বাদ যায়নি সামাজিক অনুষ্ঠানগুলিও। ফলে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য দুর্গাপূজার দিকেই তাকিয়ে ছিলেন মৃৎশিল্পীরা। কিন্তু আলিপুরদুয়ারের কুমোরটুলিতে যেন অন্য চিত্র। মহালয়ার কয়েকদিন আগেও হাতে কাজ নেই তাঁদের। বায়না করেও অর্ডার বাতিল করছেন অনেকে। তাই কাজের বদলে এবছর চিন্তায় ঘুম উড়েছে মৃৎশিল্পীদের।

বন্ধু-বান্ধবী ও যৌনতা নিয়ে শিশুর মনের কৌতুহল কীভাবে সামলাবেন বাবা-মা ?

মৃৎশিল্পী অভীক পাল জানিয়েছেন, “এবছর বড় কাজে হাত দেওয়ার সাহস পাচ্ছি না। বায়না এখনও সেভাবে আসেনি। বাইরের শিল্পীরা আসছেন না। ফলে দক্ষ কারিগরের অভাব রয়েছে। এই করোনার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। আর তা যে কতটা মারাত্মক হবে তা ভেবেই চিন্তা হচ্ছে। তার মধ্যে অনেকেই বায়না দিয়েও পরে অর্ডার বাতিল করে দিচ্ছেন। যা আরও সমস্যার।” সব মিলিয়ে করোনার কোপে এবার পুজোর হাল চিত্রটাই বদলে গিয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলায়।

আলিপুরদুয়ার শহরের হাটখোলা, নিউটাউন বাজার, বিধানপল্লি, নোনাই সহ একাধিক অঞ্চলের মৃৎশিল্পীরা আগামীদিনে কী হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এছাড়াও চিকলিগুড়ি, বারোবিশা, মাদারিহাট, ফালাকাটা সহ আলিপুরদুয়ারে মাটির পাত্র ও মূর্তি তৈরির সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের কারখানাতেও আশঙ্কার কালো মেঘ জমেছে।

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির পথ, জেনে নিন বিশেষজ্ঞর পরামর্শ

Related News

Back to top button