শহিদ দিবসেও রবি-পার্থর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে কোচবিহারে
শহিদ দিবসেও বিতর্ক পিছু ছাড়লো না কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের। প্রকাশ্যে চলে এলো রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও পার্থ প্রতীম রায়ের বিরোধ।
Bengal Live কোচবিহারঃ শহিদ দিবসেও একে অপরকে এড়ালেন রবি-পার্থ৷ নির্ধারিত সময়ের আগে দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছে শহিদ বেদীতে মাল্যদান করলেন জেলা সভাপতি। প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছানোর আগেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান জেলা সভাপতি৷ ফলে ফের একবার রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও পার্থ প্রতীম রায়ের বিরোধ সামনে চলে এলো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পার্থ প্রতীম রায় বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও ক্ষোভের সুর শোনা গিয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রীর গলায়৷
জানা গেছে, সকাল ১০টায় এদিন তৃণমূলের জেলা কার্যলয়ে শহিদ বেদীতে মাল্যদান ও পতাকা উত্তোলনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই মতই ছিল প্রস্তুতি। তবে আচমকাই প্রায় ঘন্টা খানেক আগে দলীয় কার্যালয়ে এসে উপস্থিত হন জেলা সভাপতি পার্থপ্রতীম রায়। শহিদ বেদীতে মাল্যদান ও পতাকা উত্তোলন করে সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে যান। এদিকে নির্ধারিত সময়ে এসে পৌঁছান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা রাজ্য সহ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
ভ্যাকসিনের লাইনে চরম বিশৃঙ্খলা, উত্তেজনা রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে
বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ পার্থপ্রতীম রায়। তিনি বলেন, এই বিষয়ে কোনও বিতর্ক নেই। দিনভর একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ থাকায় সেখানে আমি উপস্থিত থাকতে পারিনি। সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার সময়। এই নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই।
জেলা সভাপতি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও ক্ষোভের সুর শোনা গিয়েছে রাজ্য সহ সভাপতির গলায়। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, আজ শোক, শ্রদ্ধা জানানোর দিন। কে কোথায় কী নোংরামি করল তাতে কারোর কিছু এসে যায় না। যার যেমন রুচি সে তেমন পরিচয় দেয়। দলের নিষ্ঠাবান কর্মীরা সঠিক সময়ে দলীয় কার্যালয়ে এসে হাজির হয়েছেন।