রাতভর বৃষ্টি, জলমগ্ন রায়গঞ্জের ৪ নম্বর ওয়ার্ড, মাছ ধরতে জাল ফেলল বাসিন্দারা
জল যন্ত্রনায় ভুগছে অশোকপল্লী। নিকাশি ব্যবস্থার সুবন্দোবস্ত না থাকাতেই সামান্য বৃষ্টিতে জল জমে যায় বলে দাবি স্থানীয়দের।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ শুক্রবার রাত থেকে লাগাতার বৃষ্টিতে জলমগ্ন রায়গঞ্জের ৪ নম্বর ওয়ার্ড। রাস্তার উপর জমা জলে ভেসে বেড়াচ্ছে মাছ। এই অঞ্চলটি অপেক্ষাকৃত নীচু হওয়ায় আশেপাশের ওয়ার্ডগুলো থেকে জল ঢুকে যায় অশোকপল্লী এলাকায়। তার উপর নিকাশি ব্যবস্থার সুবন্দোবস্ত না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই নাজেহাল হতে হয় স্থানীয়দের। এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের৷
এই লাগাতার ভোগান্তিতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকার নিকাশি নালাগুলি নিয়মিতভাবে পরিস্কার না হওয়াতেই দীর্ঘদিন ধরে সামান্য বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে এই অঞ্চল। ফলত পানীয় জলের সমস্যাও দেখা দেয়। প্রতিবারের মতো এবারও গতকাল রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে ৪নং ওয়ার্ডের অশোকপল্লী এলাকার অধিকাংশ রাস্তায় জমে গেছে জল, বিঘ্নিত হচ্ছে যাতায়াত ব্যবস্থা। কার্যত এমন জল যন্ত্রনায় নাকাল হয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর এবং পুর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাসিন্দারা।
ওই এলাকার বাসিন্দা নীপা সাহা দাসের অভিযোগ, আমাদের কার্যত জলের তলায় থাকতে হয়। সঠিকভাবে নিকাশি ব্যবস্থাগুলি পরিষ্কার না করার ফলে সারা বছরই একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। আমাদের কাউন্সিলরও আমাদের মতোই একই সমস্যায় ভুক্তভোগী। প্রশাসনিক তরফে এখনো কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রভাস কুন্ডু জানিয়েছেন, আশেপাশের নয়ানজুলিগুলি ভরে রাস্তায় জল উঠে যাওয়ায় চলাচলের ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও কোন কোন জায়গায় ঘরে জল ঢুকে গেছে। বিষাক্ত সাপ এবং পোকামাকড়ের আতঙ্কও রয়েছে। দেখা দিচ্ছে পানীয় জলেরও সমস্যা। স্থানীয় কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এলাকাবাসীর ভোগান্তির কথা স্বীকার করে নিয়ে কাউন্সিলর অরুন চন্দ্র চন্দ জানিয়েছেন, অশোকপল্লী এলাকাটি নীচু,ফলে আশেপাশের এলাকার জল এসে এখানে জমা হয়। এছাড়া এই অঞ্চলের নালাগুলি বহু পুরনো হাওয়ায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জল বয়ে নিয়ে যেতে পারে না। পৌরসভার আগামী বোর্ড মিটিং এ তিনি এই বিষয়টি জানাবেন। আপাতত পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছে।