“নো ব্রীজ নো ভোট”, রায়গঞ্জে ভোট বয়কটের ডাক গ্রামবাসীদের
ভোট আসে, ভোট পেরিয়ে যায়। কিন্তু সেতু নির্মাণের দাবি মেটেনি আজও। তাই বাধ্য হয়ে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত সহস্রাধিক গ্রামবাসীর৷
গরমে বানিয়ে ফেলুন মুখরোচক কাঁচা আমের আচার। রইল রেসিপি।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ “নো ব্রীজ নো ভোট” মূলত এই দাবিকে সামনে রেখেই ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্রামীণ বাঁশের সেতুর উপর দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিধানসভা ও লোকসভা ভোট পেরিয়ে গেলেও গ্রামের সেতু নির্মাণ না হওয়ায় এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত সহস্রাধিক গ্রামবাসীর।
একটা সেতু নির্মাণ হলেই ত্রিশ কিলোমিটার রাস্তা কমে দাঁড়াবে মাত্র আট কিলোমিটারে। উপকৃত হবেন শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোট আসে ভোট যায় নদীর উপর সেতু তৈরি নিয়ে শুধুই হয় রাজনীতি। বছরের পর বছর শুধুই দুর্ভোগ কপালে জোটে ভোটারদের। তাই এবার সেতু না হলে বিধানসভা ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন রায়গঞ্জের শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দা।
পাহাড়ের তিন আসনে লড়বে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা,নাম ঘোষণা বিমল গুরুং-এর
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, কুলিক নদীর দুই পাড়ে রয়েছে শেরপুর, গোবিন্দপুর, লাইনপাড়া, ডাঙ্গিপাড়া, বরমপুর, খোকসা, গামাডাঙ্গি, বিন্দোল, খলসি, মেহেন্দিগ্রাম সহ প্রায় তিনশটি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ কুলিক নদী পাড়াপাড় করেন। এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে জেলা সদর রায়গঞ্জ শহরে যেতে সেতু না থাকায় ঘুরপথে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয় তাঁদের। তাই এবার গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ব্রিজ না হলে ভোট দিব না।
এই প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পূর্ণেন্দু দে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও ওই ব্রিজ হয়নি বলে গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা গিয়ে গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করবো। প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হবে বলে জানান পূর্ণেন্দু বাবু।