বিধানসভা নির্বাচনে দলবিরোধী কাজের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে জেলা পরিষদের তিন কর্মাধ্যক্ষকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নিল উত্তর দিনাজপুর তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযুক্তরা অমল আচার্য ও মনোদেব সিনহা ঘনিষ্ঠ বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে দলবিরোধী কার্যকলাপের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে উত্তর দিনাজপুর জেলাপরিষদের তিন কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের৷ অমল আচার্য ও মনোদেব সিনহা ঘনিষ্ঠ তিন কর্মাধ্যক্ষকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নিল উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস।
জেলাপরিষদের তিন কর্মাধ্যক্ষ বিপাশা সিনহা, সাহবানু এবং পূজা আচার্যের বিরুদ্ধে বিধানসভা নির্বাচনে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ থাকায় এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের দলনেতা পূর্ণেন্দু দে।
উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের দলনেতা পূর্ণেন্দু দে জানিয়েছেন, জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের নেতৃত্বে এবং জয়ী তৃণমূল বিধায়কদের উপস্থিতিতে বৈঠকে বসে এই তিন কর্মাধ্যক্ষকে তাঁদের পদ থেকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূলত বিধানসভা নির্বাচনে দলবিরোধী কাজের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগেই এই সিদ্ধান্ত। জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত রাজ্য কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। রাজ্য কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকায় ক্ষোভ উগরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ইটাহার ও করণদিঘির দুই প্রাক্তন বিধায়ক অমল আচার্য ও মনোদেব সিনহা। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেও দল ওই দুইজনকে প্রার্থী করেনি। ফলে দল ত্যাগ করেও কার্যত ব্যাকফুটেই ছিলেন ওই দুই প্রাক্তন বিধায়ক। এরপর তৃতীয় বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠন করার পর ফের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চান অমল আচার্য। ভুল স্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে চেয়ে রাজ্যের কাছে চিঠিও দেন অমল বাবু। এদিকে ভোটের আগে অমল আচার্য ও মনোদেব সিনহা তৃণমূল ত্যাগ করলেও দলত্যাগ করেন নি তাঁদের কন্যা ও স্ত্রী। উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদেই ছিলেন পূজা আচার্য ও বিপাশা সিনহা। এবার প্রাক্তন দুই বিধায়কের পরিজন সহ নারী কল্যান বিষয়ক কর্মাধ্যক্ষ সাহবানুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তের পর অমল আচার্যের দলে ফেরা অনেকটাই কঠিন হয়ে উঠল। এই বিষয়ে অভিযুক্ত তিন জেলা পরিষদ সদস্য তথা কর্মাধক্ষ্যের কোনও বক্তব্য মেলেনি।