ফের গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া বিজেপির, রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করলো তৃণমূল
বিজেপিকে সরিয়ে রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। ডিজে , বাজি পটকা, রঙ খেলায় মেতে উঠল তৃণমূল কর্মী সমর্থেকেরা।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ আরও একটি গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া বিজেপির। রায়গঞ্জ ব্লকের রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভা নির্বাচনের পর বিগত একমাসের মধ্যে এই নিয়ে পর পর ৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হলো বিজেপির। উল্লেখ্য , রায়গঞ্জ ব্লক ও হেমতাবাদ বিধানসভার রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে গত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট ১৯টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১০ আসনে জয় লাভ করে। বাকি ৯টি আসনের মধ্যে ৭টি পায় তৃণমূল কংগ্রেস ও ২টি ছিল বাম-কংগ্রেস জোটের।
বুধবার হেমতাবাদের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন, জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি পূর্ণেন্দু দে, রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি মানস ঘোষের নেতৃত্বে এই নতুন বোর্ড গঠন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, এদিন বাম-কংগ্রেস জোটের দুই সদস্য ও বিজেপির ৩ সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের মোট সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২। দীপন কর্মকার নতুন তৃণমূল বোর্ডের প্রধান নির্বাচিত হন এবং উপ-প্রধান নির্বাচিত হন গৌতম সরকার। এদিন যে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবী, রাজ্যের উন্নয়নের সঙ্গী হতেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন বিরোধী দলের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির সদস্যরা।
এদিকে পঞ্চায়েত দখল করার পরেই আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। বাজি পটকা ফাটানোর পাশাপাশি রঙ খেলায় মেতে ওঠেন সমর্থকেরা। এই বিষয়ে বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যদের লাগাতার ভয় দেখিয়ে দল বদল করতে বাধ্য করছেন। বাসুদেব সরকারের অভিযোগ, এদিন কোভিড বিধিকে কোনওরকম পাত্তা না দিয়ে উৎসব পালণ করা হয়েছে। মাস্ক দেখা যায় নি কারোর মুখে।