মারণ ভাইরাস করোনাকে দেবীরূপে পূজা রায়গঞ্জে, উপোস করলেন গৃহবধূরা
মারণ ভাইরাসের থাবা থেকে বাঁচতে দেবীরূপে পূজিত করোনা ভাইরাস৷ সোমবার সকালে কুলিক পারের শহর রায়গঞ্জে ধরা পড়ল এমনই চিত্র। সময় নষ্ট, দাবি বিজ্ঞান মঞ্চের।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ করোনা থেকে মুক্তি পেতে মারণ ভাইরাসকে দেবী রূপে পূজা করলেন রায়গঞ্জের কয়েকজন গৃহবধূ। সোমবার বন্দর শ্মশানে কুলিক নদীর পারে করোনাকে শান্ত করতে এই পূজার আয়োজন করা হয়। উদ্যোক্তাদের বিশ্বাস, দেশ তথা পৃথিবীকে মারণ ভাইরাসের থাবা থেকে মুক্ত করতে করোনাকে দেবীরূপে পূজা করাই একমাত্র উপায়। ইন্টারনেট থেকে পূজার নিয়ম শিখেছেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ।
আরও পড়ুনঃ দেশজুড়ে চালু রেল পরিষেবা, যাত্রী ভিড় নিউ জলপাইগুড়ি (NJP) স্টেশনে
পূজার উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম ইরাবতী পাসমান বলেন, করোনার প্রভাব থেকে যেন আমাদের পরিবার, দেশ ও পৃথিবী মুক্তি পায় সেই কারণে করোনা দেবীকে এদিন পূজা করা হয়েছে। দেবীকে শান্ত করতে এদিন নয়টি লাড্ডু, নয়টি জবা ফুল, নয়টি লবঙ্গ ও গুড়ের শরবত ভোগ হিসেবে অর্পণ করা হয়েছে। পূজা শেষে সমস্ত ভোগ মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়৷ পূজার নিয়ম ইন্টারনেট থেকে জানতে পেরেছেন বলেও দাবী করেন উদ্যোক্তারা৷ পুরোহিত সুরজিৎ চক্রবর্তী বলেন, সূর্যকে সাক্ষী রেখে এদিন শহরের কিছু মহিলা সারাদিন উপোস থেকে পূজায় অংশ নিয়েছেন। দেশবাসী যেন করোনা থেকে মুক্তি পেয়ে উন্নতির দিকে এগিয়ে যায় সেই কারণেই এই পূজার আয়োজন৷
আরও পড়ুনঃ প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার শিলিগুড়িতে, গ্রেপ্তার তিন
কোভিড ১৯ কে মোকাবিলা করতে যখন গোটা পৃথিবীর বিজ্ঞানী, চিকিৎসকেরা একজোট হয়ে লড়াই করছেন ঠিক সেই সময়ই উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জে এমন ছবি ধরা পড়ায় চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চের সদস্য অঞ্জন মজুমদারের দাবি, কুসংস্কারকে কখনই পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ গুরুত্ব দেয় নি৷ এইসব কাজ থেকে বিরত থাকতেই সব সময় বলা হয়৷ তবে এই ঘটনার মধ্য দিয়ে মানুষের অসহায়তা প্রকাশ পেয়েছে৷ ফলে বিজ্ঞানমঞ্চের একজন সদস্য হয়ে বিষয়টিকে সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছি না।