দুই সন্তানকে নিয়ে খোলা আকাশের নীচে মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা, ঠাঁই রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল
রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে শীত গ্রীষ্ম বর্ষা উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নীচেই দুই সন্তানকে নিয়ে রাত কাটাচ্ছেন এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা । দুই শিশুর সুরক্ষা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হাসপাতালের কর্মী থেকে শুরু করে আশপাশের সাধারণ মানুষ ।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে বিগত প্রায় এক বছর ধরে দুই সন্তানকে নিয়ে জীবনযাপন করছেন এক মা। ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা শীত গ্রীষ্ম বর্ষা উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নীচেই রাত কাটাচ্ছেন বাচ্চাদের নিয়ে। হাসপাতালের কর্মী বা সাধারণ মানুষের অনুগ্রহে কোনও দিন তাঁদের খাওয়া জোটে কোনোদিন জোটে না। তাঁর শিশু সন্তানেরা ছোটাছুটি করে খেলে বেড়ায় হাসপাতাল চত্বর জুড়ে। হাসপাতালে অহরহ অগুন্তি মানুষজন এবং গাড়িঘোড়ার যাতায়াত। তাই হাসপাতালের কর্মীরাই চেষ্টা করেন বাচ্চাগুলিকে নজরে রাখার কিন্তু সবসময় তাদের পক্ষেও তা সম্ভব হয় না। এমতবস্থায় বাচ্চাগুলির সুরক্ষা এবং ভবিষ্যৎ পুরোপুরি অনিশ্চিত এবং তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হাসপাতালের কর্মী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা।
শহরকে প্লাস্টিক মুক্ত করতে শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের সচেতনতা অভিযান
ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা বলেন, তাঁর নাম সিতো সোরেন। তিনি বিগত এক বছর ধরে হাসপাতাল চত্বরেই রয়েছেন। কেউ খেতে দিলে তবেই খাওয়ার জোটে, না দিলে জোটে না।
রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের তরফে এই বিষয়ে অভিক মাইতি জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে জানা ছিল না তাঁর। তিনি এখনই জানলেন। তাঁরাও চান মহিলাটি একটি সুরক্ষিত আশ্রয় পান। পুরো বিষয়টি তাঁরা পুলিশকে জানাবেন। তারপর পুলিশের তরফে কোনও এন.জি.ও র সাথে যোগাযোগ করে যা পদক্ষেপ নেওয়ার তা নেওয়া হবে।
আজও রায়গঞ্জের দাস বাড়িতে গ্রামোফোন চলে, রেকর্ড বাজে
তৃণমূল কংগ্রেসের অস্থায়ী স্বাস্থ্য কর্মী সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রশান্ত মল্লিক জানিয়েছেন, ওই আদিবাসী মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাটি পরিবার থেকে বিতাড়িত হয়ে প্রায় দুই বছর যাবত ঠাঁই নিয়েছে হাসপাতাল চত্বরে। তাঁর বাচ্চা দুটি নেহাতই ছোটো, হাসপাতালের কর্মীরা তাদের দেখে রাখলেও প্রায়ই তারা খেলতে খেলতে রাস্তায় চলে যায় ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই অস্থায়ী স্বাস্থ্য কর্মী সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁরা জেলা প্রশাসন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ওই মহিলা ও তাঁর সন্তানদের খাদ্য ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, দুই শিশুর শৈশব যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য আগামী দিনে তাদের সংগঠন ও হাসপাতালের কর্মীবৃন্দের সহায়তায় বাচ্চাগুলিকে স্কুলে পাঠানোর ব্যাবস্থাও করা হবে।