রায়গঞ্জ

“বিশেষ দিন ছাড়া কারোরই আর মনে পড়েনা” – অভিমানী চাঁদিমা রায়

২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দেবেন রায়ের স্ত্রী চাঁদিমা রায়কে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। সহানুভূতির হাওয়া টানার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হতে হয় বিজেপিকে। ওই কেন্দ্র থেকে জয় লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস।

 

Bengal Live হেমতাবাদঃ ঠিক এক বছর আগে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছিল হেমতাবাদের প্রাক্তন বিধায়ক দেবেন্দ্র নাথ রায়ের। বাড়ি থেকে কিছু দূরেই ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। বিজেপি বিধায়কের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। কেন্দ্র ও রাজ্যের একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব দফায় দফায় এসেছিলেন মৃত বিধায়কের পরিবারের সাথে দেখা করতে৷ তবে একবছরের মাথায় অভিমানী দেবেন রায়ের স্ত্রী চাঁদিমা রায়। সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষোভের সুরে তাঁর দাবি, বিশেষ বিশেষ দিন ছাড়া দেবেন্দ্র নাথ রায়ের কথা এখন আর কারোর মনে পড়ে না।

টাইপিং স্কুল থেকে চায়ের দোকান, বদলে গিয়েছে বংশী দার জীবন সংগ্রাম

২০২০ সালের ১৩ জুলাই বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে বালিয়া মোড় এলাকায় একটি বন্ধ দোকানের সামনে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল হেমতাবাদের তৎকালীন বিজেপি বিধায়ক দেবেন রায়ের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সহ বিজেপির কেন্দ্র ও রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্ব দফায় দফায় এসেছিলেন হেমতাবাদে। দাবি তোলা হয়েছিল সিবিআই তদন্তের। রাজ্য সরকার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়। শুরু হয় তদন্ত। মৃত বিধায়কের পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছিল তদন্তকারীরা। সেই সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে পুলিশ প্রয়াত বিধায়ক দেবেন রায়ের সাথে টাকা পয়সা ও ব্যবসায়িক লেনদেনে যুক্ত মামুদ আলি ও নিলয় সিংহকে মালদা থেকে গ্রেপ্তার করে।

ঝটপট বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন চটপট চিড়ের কাটলেট

মঙ্গলবার ১৩ জুলাই প্রয়াত প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী থাকলেও তাঁর বাড়ি ছিল কার্যত ফাঁকা। তিনি বলেন, আমার স্বামীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলাম। কিন্তু দল বলছে রাজ্য সরকার অনুমতি না দিলে সিবিআই তদন্ত হবে না। আমি চাই সঠিক তদন্ত হোক। সিআইডি, সিবিআই, রাজ্য পুলিশ যেই করুক। সংবাদ মাধ্যমের সামনে এদিন অভিমানী চাঁদিমা দেবী বলেন, প্রথমে যেমন সহযোগিতা পেয়েছিলাম এখন আর তেমন পাই না। বিশেষ বিশেষ দিন ছাড়া এখন আর কারোরই মনে পড়ে না।

ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির নতুন ঠিকানা সাগরদিঘী মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র

Related News

Back to top button