রায়গঞ্জ

স্কুল প্রাঙ্গনে ক্ষুদ্র আবহাওয়া দপ্তর, পরিবেশ সচেতনতার বার্তা রায়গঞ্জ সারদা বিদ্যামন্দিরের

আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্ব জুড়ে বাড়তে থাকা তাপমাত্রা নিয়ে সচেতন করতে রায়গঞ্জের এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের অভিনব উদ্যোগ। ছাত্র ছাত্রীদের জন্য স্কুল চত্বরে বসানো হলো ক্ষুদ্র আবহাওয়া দপ্তর।

Raiganj Sarada Vidyamandir

Bengal Live রায়গঞ্জঃ  ক্ষুদ্র আবহাওয়া দপ্তর বসলো রায়গঞ্জের সারদা বিদ্যামন্দির নামের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। শুক্রবার এই ক্ষুদ্র আবহাওয়া দপ্তর চালু করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী দিনে ছাত্র ছাত্রীদের আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্ব জুড়ে বাড়তে থাকা তাপমাত্রা নিয়ে সচেতন করতেই মূলত এই উদ্যোগ।

Raiganj Sarada Vidyamandir ১

এই ক্ষুদ্র আবহাওয়া দপ্তরটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্রিজ’। বসানো হয়েছে রেনগজ, বাত পতাকা, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাপক যন্ত্র, সানসাইন রেকর্ডার, এ্যানিমোমিটার যন্ত্র। এই ‘ব্রিজ’ এর মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদের আবহাওয়া সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্ব জুড়ে বাড়তে থাকা তাপমাত্রা নিয়ে সচেতন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ওই স্কুলের প্রধানাচার্য ধ্রুবজ্যোতি অধিকারী, পরিচালন সমিতির সভাপতি বিশ্বনাথ বসাক, সম্পাদক প্রদীপ দত্ত , কোষাধ্যক্ষ অভিজিৎ দাস, বিদ্যালয়ের প্রাতঃ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথাগত ভট্টাচার্য, একাডেমিক কোঅর্ডিনেটর হিমাংশু ত্রিবেদী সহ অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারা।

Raiganj Sarada Vidyamandir

এদিন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধ্রুবজ্যোতি অধিকারী জানান, ‘সিলেবাস ভিত্তিক পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র ছাত্রীদের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জন্য আমরা সর্বদাই সচেষ্ট। কিভাবে আবহাওয়া দপ্তর কাজ করে সেটি হাতে কলমে শেখাতেই শুধুমাত্র ছাত্র ছাত্রীদের জন্য আমারা এটি চালু করেছি। তাই রায়গঞ্জ মোহনবাটি হাই স্কুলের শিক্ষক বিশ্বজিৎ রায়কে এমন একটা দপ্তর তৈরির আবেদন জানাতেই তিনি রাজি হয়ে যান। আজ ওনার প্রচেষ্টাতেই এই আবহাওয়া দপ্তর চালু করা হল।

meteorological office

এবিষয়ে রায়গঞ্জ মোহনবাটি হাই স্কুলের শিক্ষক বিশ্বজিৎ রায় বলেন, কয়েকমাস আগে রায়গঞ্জের সারদা বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকরা আমার কাছে এই আবহাওয়া দপ্তর তৈরীর আবেদন জানান। এই ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে এই দপ্তর তৈরীর কাজ শুরু করি। কেনা যন্ত্রপাতির পাশাপাশি আমার নিজের হাতে তৈরী কিছু যন্ত্রপাতিও এই ব্রিজে রয়েছে। সারদা বিদ্যামন্দির কর্তৃপক্ষ এই রকম একটি উদ্যোগ গ্রহণ করায় আমি যাবতীয় সহয়তা করেছি। আশা করছি, এর মাধ্যমে হাতে কলমে বিজ্ঞান শিখে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা উপকৃত হবে।

Related News

Back to top button