তিনি তখন উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলের অবজার্ভার। দক্ষ সংগঠক হওয়ায় পঞ্চায়েত ও পুরভোট পরিচালনার দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। আজ দল বদলের পর জেলায় প্রথম এলেন শুভেন্দু অধিকারী। কী বললেন সেদিনের সন্ত্রাসের কথা নিয়ে ?
Bengal Live রায়গঞ্জঃ রায়গঞ্জ পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক সন্ত্রাসের কথা এখনও ভোলেনি উত্তর দিনাজপুরের মানুষ। চাপা ক্ষোভ যে রয়েছে সাধারণের মনে তা আঁচ করতে পেরেই পঞ্চায়েত ও পুর নির্বাচনে গোলমাল ও অশান্তির সমস্ত দায়ভার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘারে চাপালেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এই প্রথম উত্তর দিনাজপুর জেলায় এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে কালিয়াগঞ্জ, করণদিঘি ও চোপড়ায় জনসভায় বক্তব্য রাখলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন পর্যবেক্ষক তথা বিজেপির নব্য নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
রবিবার সকালে রায়গঞ্জে পৌঁছেই প্রথমে দেবপুরীতে পূজা দেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর দলীয় নেতৃত্বকে সাথে নিয়ে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত রায়গঞ্জের গোয়ালপাড়ায় নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন তিনি। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমেই রায়গঞ্জ পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটের প্রসঙ্গ টেনে আনেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তৎকালীন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পর্যবেক্ষক স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন, সেই সন্ত্রাসের মূল কারিগর ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সভা মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “গত কয়েকবছর থেকে আপনারা তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সংগঠক হিসেবে আমাকে দেখেছেন। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণ করার মতন ক্ষমতা আমার ছিল না। যে কায়দায় তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়ত ও রায়গঞ্জ পুরসভা নির্বাচনে ভোট লুঠ করেছে, সেগুলো সবই ঘটেছে মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। স্বাভাবিক ভাবেই এই কোম্পানির কর্মচারী হিসেবে আমি থাকতে চায়নি। তাই বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণ করে নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করেছি।”
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কালিয়াগঞ্জ উপ নির্বাচনের সময় আমরা এসেছিলাম মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছিলাম। কিন্তু মাননীয়া কোনও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেননি। তপন দেব সিংহ কিছু করতে পারেননি৷ তৃণমূল কংগ্রেস এখানে তিন নম্বর আসনে থাকবে। আমাদের লড়াই হয়ে যাবে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী প্রভাস সরকারের সাথে। এদিন কালিয়াগঞ্জের বিদায়ী বিধায়ক তপন দেব সিংহ সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ” কয়েকদিন আগে তিনি ফোন করছিলেন। রাজীব ব্যানার্জীকে ফোন করেছিলেন। আমার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন, বলছিলেন বিজেপিতে যাব। দেবশ্রীদি, বিশ্বজিৎ বাবু নেবো না বলেছেন । তাই কী আর করা যাবে, শুকনো ফুলে দাঁড়িয়েছে।