দুর্ঘটনার পর নড়ল টনক, শুরু হলো রাস্তা মেরামতির কাজ

বুধবার ঝাড়খণ্ড থেকে লক্ষ্ণৌগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাতীয় সড়কের ধারের একটি নয়ানজুলিতে পড়ে যায়৷ দুর্ঘটনা স্থল থেকে রাতেই উদ্ধার করা হয় ছয় জনের মৃতদেহ।

 

Bengal Live রায়গঞ্জঃ অভিশপ্ত রাত, এক দুর্ঘটনা কেড়ে নিল ৬টি তরতাজা প্রাণ৷ আর তারপরই টনক নড়ল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হলো বেহাল জাতীয় সড়কের একাংশ মেরামতের কাজ। এদিন সকাল থেকেই দুর্ঘটনাস্থল সংলগ্ন রাস্তায় চালু হয়েছে মেরামতি, উপস্থিত রয়েছেন পুলিশ প্রশাসনও।

বাইপাসের কাজ চালু থাকার কারণে বেশ কিছুদিন থেকেই বেহাল অবস্থায় রয়েছে রূপাহারের উপর দিয়ে যাওয়া ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ৷ কার্যত প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে চলে যাতায়াত। প্রায় রোজই ছোটো বড় দুর্ঘটনার সাক্ষী হতে হয় জাতীয় সড়ক সংলগ্ন বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর আগেও বহুবার প্রশাসনিক মহলে রাস্তা সংস্কারের জন্য তদ্বির করা হলেও তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি।

রূপাহারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত একাধিক

প্রসঙ্গত, বুধবার রাত প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ ঝাড়খণ্ড থেকে লক্ষ্ণৌগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাতীয় সড়কের ধারের একটি নয়ানজুলিতে পড়ে যায়৷ জানা গেছে,ওই বাসে কাজের জন্য ভিন রাজ্যে পারি জমাচ্ছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। প্রথম অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ও দমকল।দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় দমকল বাহিনী ক্রেন দিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাসটিকে নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে৷ দুর্ঘটনা স্থল থেকে রাতেই উদ্ধার করা হয় ছয় জনের মৃতদেহ। তবে মৃতদের কারোর পরিচয় এখনও জানা যায়নি৷ তাঁদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ।

এলাকার বাসিন্দা জগৎ শর্মা জানান, গতকাল রাত দশটার সময় একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। একটি বাস সামনের জলাশয় পড়ে যায়। আমরা কয়েকজনকে উদ্ধার করতে পারলেও ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৬ জনের। আমাদের সন্দেহ জলাশয় আরো কোনো মৃতদেহ পাওয়া গেলেও পাওয়া যেতে পারে।এই দুর্ঘটনার পেছনের মূল কারণ হলো জাতীয় সড়কের বেহাল অবস্থা। রাস্তাভর্তি পাথর রয়েছে, পিচ ঢালার কোনো ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। এর আগেও এলাকার মহিলারা এ বিষয়ে আন্দোলন করেছে তবে তা পরোয়া করেনি প্রশাসন।কাল এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর এখন বেহাল রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। আমরা চাই অবিলম্বে জাতীয় সড়ক মেরামতির কাজ শেষ করা হোক, যাতে আমাদের এই রকম ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্মুখীন আর না হতে হয়।

Exit mobile version