অর্পিতারাই এই সমাজের আসল দুর্গা, দু’হাতেই দশভূজার দায়িত্ব সামলান
রায়গঞ্জের কাঞ্চনপল্লীতে পৌঁছলেই দেখা মিলবে এই দুর্গার। দুই হাতে নিরন্তর গড়ে চলেছেন মাটির দুর্গা। দশভূজার আরাধনায় আর ক’দিন পরেই তো মাতবে বাঙালি।
আজকের রাশিফলঃ ১১ই অক্টোবর, রবিবার
Bengal Live রায়গঞ্জঃ পুজোর আর ক’টা দিন বাকি। কুমোরটুলিতে চলছে জোরদার দেবী মূর্তি গড়ার কাজ। কাঞ্চনপল্লীতে দেবী মূর্তি বানাচ্ছেন দেবী নিজেই৷ শুনে অবাক হলেন! অবাক হওয়ার কিছু নেই। এ দেবীর নাম অর্পিতা পাল। ২০১৫ সালে তাঁর স্বামী কিডনির অসুখে মারা যান। তারপর থেকে স্বামীর শূন্য স্থান পূর্ণ করতে প্রতিমা তৈরির কাজ সামলাচ্ছেন অর্পিতা পাল নিজেই।
সংসারের বোঝা টানতে মুর্তি তৈরির পথই বেঁছে নিয়েছেন অর্পিতা দেবী। তার হাতের তৈরি দুর্গা প্রতিমা মন কাড়ে দর্শনার্থীদের। ১৯৯৪ সালে অর্পিতা পালের বিয়ে হয় কাঞ্চনপল্লীর মৃৎশিল্পী গনেশ পালের সঙ্গে। গণেশবাবু মারা যাবার পর সংসারে নেমে আসে অনটন। কিন্তু তিনি থেমে যাননি। স্বামীর শেখানো হাতের কাজই তাকে আবার বাঁচতে শিখিয়েছে।
দুর্গা পূজার আগেই চালু হোক রাধিকাপুর এক্সপ্রেস, দাবি কংগ্রেসের
প্রথমে ছোটো ছোটো প্রতিমা তৈরি করে তিনি সংসার চালাকচ্ছিলেন। এখন দশভূজা মূর্তির অন্যতম নির্মাতা অর্পিতা দেবী। মা দুর্গা দশহাতে অস্ত্র নিয়ে যেমন ধরিত্রীর রক্ষার অবতীর্ণ হয়েছিলেন ঠিক তেমনই অর্পিতা দেবী তার সমস্ত বাঁধা -বিপত্তি উপেক্ষা করে সংসার সামলেছেন। বর্তমানে অর্পিতা দেবী। সংসার সামলানোর পাশাপাশি মেয়ের বিয়ে দেওয়া এমনকি ছেলেকে উচ্চশিক্ষার জন্য কলকাতায় পড়তে পাঠানো কোনোটাতেই খামতি রাখেননি।
স্বামীর শেখানো কাজই আজ অর্পিতা দেবীকে নতুন ভাবে বাঁচতে শিখিয়েছে। অর্পিতা দেবীরাই এই সমাজের আসল দুর্গা।