কলা গাছে লুকিয়ে ছিল উপকরণ, তা দিয়েই অনন্য শিল্প সৃষ্টি ইটাহারের রাজবংশী দম্পতির
কলাবাগানে শিল্পের সন্ধান। এ যেন সেই অবন ঠাকুরের “কুটুম কাটাম” — ঘরের কাছে পড়ে থাকা আটপৌরে জিনিস থেকেই অনবদ্য শিল্প সৃষ্টির মতো।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ কলাবাগানে শিল্পের সন্ধান। এ যেন সেই অবন ঠাকুরের “কুটুম কাটাম” — ঘরের কাছে পড়ে থাকা আটপৌরে জিনিস থেকেই অনবদ্য শিল্প সৃষ্টির মতো। কলাগাছের বাকল থেকে তন্তু বের করে সেই তন্তু দিয়েই মালনবালা বুনে চলেছেন তাঁর “নক্সী কাঁথা”। তাঁর এই অনবদ্য সৃষ্টি প্রশংসা কুড়িয়েছে বিদেশের মাটিতেও।
মালনবালা মধ্যবয়সী এক রাজবংশী মহিলা। বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের চৌদুয়ার গ্রামে। একদিন বাড়ির পোষা ছাগলের খাবার জোগার করতে গিয়েছিলেন কলাবাগানে। সেখানেই প্রথম কলা তন্তুর আবিষ্কার করেন তিনি।এরপর ঝিনুক ও টিনের কৌটোর সাহায্যে কলা গাছের বাকল ঘষে সুতো বের করেই তৈরি করে ফেলেন হরেক রকম নক্সার আসন, টেবিল ম্যাট, পর্দা, ব্যাগ সহ নানা ধরণের গৃহসজ্জার সরঞ্জাম।
ব্যানানা ফাইবার বা ব্যানানা টিস্যু দিয়ে তৈরি মালনবালার গৃহসজ্জার সরঞ্জামই এখন দেশ ও বিদেশ মাটিতে সমান সমাদৃত। বিগত কয়েকবছর আগে কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থার হাত ধরে মালনবালা আমেরিকা পারি দিয়েছিলেন। প্রদর্শনীতে তাঁর তৈরি শিল্পকর্মের প্রশংসা করেছিলেন মার্কিন মুলুকের বাসিন্দারা। বাংলাদেশের শিল্পরসিকরাও তাঁর সৃজনশীলতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। ইদানিং বিদেশের প্রদর্শনিগুলিতে অংশ গ্রহণ করা মালনবালা বন্ধ করে দিলেও দেশের ও এই রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি শিল্প মেলায় “নক্সী কাঁথার” পসরা নিয়ে হাজির হন তিনি। তাঁর স্বামী সোমেষ সরকারও মালনবালা দেবীর সাথে হাতে বানানো কাপড়ের ফুল নিয়ে হাজির হন শিল্প মেলায়।