দেবীনগর খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার এক
সোমবার সন্ধ্যা রাতে বাড়ির সামনে একই পরিবারের তিন সদস্যকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ দেবীনগর খুনের ঘটনায় পুলিশের জালে এক মহিলা। খুনের ঘটনার সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে জয়শ্রী দাস নামে এক মহিলাকে মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তার করে রায়গঞ্জ পুলিশ। খুনের ঘটনার সাথে আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের নাম জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এদিন ধৃতকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত মহিলার নাম জয়শ্রী দাস। গুলিবিদ্ধ সুজয় কৃষ্ণ মজুমদারের বাড়িতে একসময় ভাড়া থাকতেন তিনি। এখন ওই পাড়াতেই কিছু দূরে বাড়ি করে থাকতেন জয়শ্রী দেবী। এদিন সকালে খুনে ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দ্বন্দ্ববিধির ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করেছে তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ রায়গঞ্জ পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লী সংলগ্ন এলাকায় বেশ কয়েকরাউন্ড গুলির শব্দ মেলে। জানা যায়, বাড়ির সামনেই পুলিশ আধিকারিক সুজয় কৃষ্ণ মজুমদার ও তাঁর দুই বোনকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা৷ গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় সুজয় কৃষ্ণ মজুমদারের বোন দেবী সন্যালের৷ এদিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সুজয় বাবু ও তাঁর আরেক বোন রূপা অধিকারীকে। এদিকে রাতেই রূপা দেবীকে মালদায় স্থানান্তর করা হয়েছে। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সুজয় কৃষ্ণ মজুমদার।
আচমকা সন্ধ্যা রাতে এমন ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। স্থানীয় পুর কাউন্সিলর অভিজিৎ সাহা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই দেখেন বাড়ির সামনে একই পরিবারের তিন সদস্য রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন। তড়িঘড়ি তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে ঘটনার পরেই তদন্তে নামে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ৷ রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সানা আখতার নিজেও এলাকায় পৌঁছে সরেজমিনে তদন্ত শুরু করেন।