২২ টাকায় আলু ও ২৩ টাকায় ডাল খাওয়ানো সম্ভব না, ডিআইকে জানালেন WBTPTA শিক্ষকরা
২২ টাকায় আলু ও ২৩ টাকায় ডাল খাওয়ানো সম্ভব না। ডিআইকে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানালেন তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড মিলের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষকরা। এমনই অভিযোগ তুলে সোমবার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শককে সাফ জানিয়ে দিলেন শিক্ষকরা, ২২ টাকা কেজি দরে আলু আর ২৩ টাকা কেজি দরে ডাল কিনে ছাত্রছাত্রীদের খাওয়ানো তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ ওই দামে বাজারে আলু বা ডাল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এদিন তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে দাবি জানানো হয়েছে, আলু, ডাল ও স্যানিটাইজারের জন্য ধার্য অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হোক। আর ধার্য অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করা না হলে সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিওর মাধ্যমে সেইসব সামগ্রী ক্রয় করে প্রতি বিদ্যালয়ে সরবরাহ করার দাবি জানানো হয়েছে সংগঠনের তরফে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল তৃণমূল প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান বলেন, মিড ডে মিলের জন্য আলু, ডাল ও স্যানিটাইজার ক্রয়ের জন্য সরকার যে দাম ধার্য্য করেছে,সেই দামে পণ্য কেনা সম্ভব হচ্ছে না। আলুর জন্য সরকার ২২ টাকা বরাদ্দ করলেও বাজারদর রয়েছে ২৫ টাকা প্রতি কেজি। একই ভাবে ডালের বাজার দর রয়েছে ৩০ টাকা। সরকারি বরাদ্দ রয়েছে ২৩ টাকা প্রতি কেজি। তাই সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে বরাদ্দ বাড়ানো অথবা সংশ্লিষ্ট ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের মাধ্যমে বিদ্যালয় গুলিতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। গৌরাঙ্গ চৌহান আরও জানান, এদিন প্রধান শিক্ষকের প্রোমোশন, অবসর প্রাপ্তদের পে কমিশনের সুবিধা প্রদান,বিপদগ্রস্ত সকলকে ট্রান্সফার দেওয়া সহ মোট ১১ দফা দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে।