রায়গঞ্জে ট্রেন অবরোধ করল বনধ সমর্থকরা, রেললাইনে লাল ঝাণ্ডা পুঁতে বিক্ষোভ
বনধের সমর্থনে রায়গঞ্জের পথে নামলেন জেলা বামফ্রন্টের নেতা অপূর্ব পাল, প্রাক্তন মন্ত্রী শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়, সিপিআই নেতা সমর ভৌমিক সহ অন্যান্য বামপন্থী দল ও সংগঠনের নেতা, কর্মী ও সদস্যরা।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো রায়গঞ্জেও শুক্রবার বামফ্রন্টের ডাকা বনধে আংশিক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মিললো। এদিন সকাল থেকেই শহরের অধিকাংশ দোকানপাট ও বাজার বন্ধ দেখা যায়। শহরের রাস্তাঘাট ও বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড প্রায় শুনশান। রায়গঞ্জ এনবিএসটিসি ডিপোতেও সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে সরকারি বাস। প্রায় স্তব্ধ রায়গঞ্জ সহ গোটা উত্তর দিনাজপুর জেলা।
শুক্রবার সকাল থেকেই বনধ সফল করতে রায়গঞ্জের পথে নেমেছেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। শহরের রাস্তায় মিছিল করার পাশাপাশি বিভিন্ন মোড়ে ও সরকারি কার্যালয়ে পিকেটিং করেন বনধ সমর্থকরা। বামেদের একটি মিছিল রায়গঞ্জ রেলগেট পার হওয়ার সময় একটি পণ্যবাহী ট্রেন যেতে দেখে সেটিকেও আটকে দেন বনধ সমর্থনকারীরা। রেললাইনের উপরে ওড়ানো হয় লাল ঝাণ্ডা। পাশাপাশি এদিন রেল লাইন সংলগ্ন সবজি বাজারও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সকলের জন্য শিক্ষা সকলের জন্য স্বাস্থ্যের অধিকার ও শূন্যপদে নিয়োগের দাবি নিয়ে বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি বাধে। পালটা জল কামান, টিয়ার গ্যাস চালানোর পাশাপাশি বেধড়ক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের লাঠির ঘায়ে আহত হন শতাধিক ছাত্র-যুব নেতা ও কর্মী। এই ঘটনার পরেই শুক্রবার রাজ্য জুড়ে ১২ ঘন্টার বনধ-এর ডাক দেয় রাজ্য বামফ্রন্ট। সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম সাংবাদিক বৈঠক করে বনধের ঘোষণা করেন৷ সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে বনধের ডাক দেন তিনি।