রায়গঞ্জ শ্যুটআউটঃ মেঘালয় থেকে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত সহ আরও দুই

শনিবার সকালে গৌহাটি ও শিলং এর মাঝে রাস্তার পাশের একটি ধাবা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে রায়গঞ্জে নিয়ে আসা হয়।

 

Bengal Live রায়গঞ্জঃ  ভরসন্ধ্যায় পুলিশকর্মীকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগে মূল অভিযুক্ত শীতল রায়কে গ্রেপ্তার করলো রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। শীতল রায় ওরফে পাপন এবং তাঁর স্ত্রী ও শ্যালককে মেঘালয় থেকে আটক করা হয়। শনিবার ধৃতদের রায়গঞ্জ জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ সেপ্টম্বর রাত সাড়ে আটটা নাগাদ রায়গঞ্জ পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লী সংলগ্ন এলাকায় বেশ কয়েকরাউন্ড গুলির শব্দ মেলে। জানা যায়, বাড়ির সামনেই পুলিশ আধিকারিক সুজয় কৃষ্ণ মজুমদার ও তাঁর দুই বোনকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা৷ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুজয় কৃষ্ণ মজুমদারের বোন দেবী সন্যালের৷ বর্তমানে আশংকাজনক অবস্থায় সুজয়বাবু এস এস কে এম হাসপাতালে এবং রূপা দেবী মালদা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরপরই পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছিল মূল অভিযুক্ত পাপন রায়ের নাম। ঘটনার পরের দিনই পাপনের দিদি জয়শ্রী দাসকে গ্রেপ্তার করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিলেন মূল অভিযুক্ত। তদন্তে নেমে তাঁরা জানতে পারেন মেঘালয়ের শিলং এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন তিনি। এরপর শনিবার সকালে গৌহাটি ও শিলং এর মাঝে রাস্তার পাশের একটি ধাবা থেকে পাপনকে গ্রেপ্তার করে রায়গঞ্জে নিয়ে আসা হয়। পাপনের সাথেই গ্রেপ্তার করা হয় তার স্ত্রী সুপর্না বিশ্বাস এবং শ্যালক পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার গোপাল কৃষ্ণ বিশ্বাসকে।

রায়গঞ্জে পুলিশকর্মীকে গুলি কান্ডে এনিয়ে মোট ধৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো চার। এদিন ধৃতদের রায়গঞ্জ জেলা আদালতে পেশ করা হলে পাপন ও তার শ্যালক গোপালের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত ও পাপনের স্ত্রীর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগেই পাপনের দিদি জয়শ্রী দাসকে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে নিয়ছিল। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে খুনের আসল কারণ উদ্ঘাটন করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।

Exit mobile version