বেতন মুকুবের দাবিতে বেসরকারি স্কুলে অভিভাবকদের বিক্ষোভ রায়গঞ্জে
লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। তাই স্কুলের বেতন মুকুবের দাবিতে বৃহস্পতিবার আন্দোলনে তাঁরা।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ স্কুলের বেতন মুকুবের দাবিতে আন্দোলনে নামলেন একটি বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক ও অভিভাবিকারা। রায়গঞ্জ শহরের উকিলপাড়ায় অবস্থিত বাংলামাধ্যমের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের এই আন্দোলনের জেরে চাঞ্চল্য দেখা দেয় বৃহস্পতিবার। অভিভাবকদের দাবি, করোনা আবহে লকডাউন চলায় স্কুলটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। লক ডাউনের জেরে তাঁদের রোজগার বন্ধ। ফলে স্কুলের বেতন দেওয়ার সামর্থ্য নেই তাঁদের। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি সকল ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের দাবি তাদের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। পেশা ও উপার্জনের নিরিখে স্কুল ফি কিছুটা হ্রাস করার জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। এদিন প্রায় সাড়ে চারশ জন অভিভাবক জমায়েত হয়েছিলেন আন্দোলনে।
আন্দোলনরত অভিভাবকদের মধ্যে অন্যতম স্বপন দাস বলেন, কর্মহীন হয়ে এখন রাজ্য সরকারের দেওয়া চাল ডাল খেয়েই বেঁচে রয়েছি আমরা। তাই এই অবস্থায় স্কুলের বেতন দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়৷ স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলেও তাঁরা বেতন জমা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। পেশা উপার্জনের ভিত্তিতে কাউকে কাউকে বেতনে কিছু ছাড় দেওয়ার কথা স্কুল জানালেও আমরা তা মানতে পারছি না। সকল পড়ুয়ার বেতন মুকুবের দাবি জানাচ্ছি আমরা।
অপরদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সম্পাদক আদিত্য নারায়ন দাস বলেন, লকডাউন চললেও আমাদের স্কুলের ৭৫ জন স্টাফকে বেতন দিতেই হবে। স্কুলের থেকে প্রাপ্ত সামান্য বেতনের উপরেই তাঁদের সংসার চলে। আর স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে অশিক্ষক কর্মচারী, স্কুলভ্যান চালক এদের বেতন দেওয়া হয় স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ফি থেকে। তবুও আমরা লক ডাউনে মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে অভিভাবকদের পেশা ও উপার্জনের নিরিখে কিছু কিছু ছাত্রছাত্রীর স্কুল ফি হ্রাস করার জন্য আবেদন করতে বলেছি। স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষক শিক্ষিকারা নিয়মিত অনলাইনে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান দিয়েই চলেছেন। তাদের কথাও স্কুল কর্তৃপক্ষকে ভাবনা চিন্তা করতে হচ্ছে।