অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড রায়গঞ্জের হাতিয়া পালোইবাড়িতে, ভূতের ভয়ে তটস্থ দাস পরিবার
খেতে বসলেই ভূতের অত্যাচার, অভিযোগ রায়গঞ্জের গৃহবধূর। অদ্ভুতুরে কান্ডে আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ খেতে বসলেই নানান উপায়ে অত্যাচার করছে অদৃশ্য কেউ। কখনও খাবারের থালা ফেলে দিচ্ছে, কখনও গলা টিপে ধরছে, আবার কখনও বাড়ির টিনের ছাউনিতে ঢিল পড়ছে। এমন অভিযোগই করলেন রায়গঞ্জের এক গৃহবধূ। প্রায় মাস খানেক ধরে চলতে থাকা এই ভুতুড়ে কান্ডকারখানায় ভীত রায়গঞ্জ থানার হাতিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পালুইবাড়ির দাস পরিবার। পুরো ঘটনায় ভীত এলাকার বাসিন্দারাও। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার দিনই এলাকায় পৌঁছবে বিজ্ঞান মঞ্চ।
উত্তরকন্যা অভিযানের আগে রায়গঞ্জ, মালদায় মিছিল ও বাইক র্যালি যুব মোর্চার
জানা গেছে, প্রায় মাস খানেক আগে বিয়ে হয়ে গ্রামে এসেছেন কল্পনা দাস। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে ভুতুড়ে কান্ডকারখানা। গৃহবধূ কল্পনা দাসের দাবি, খেতে বসলেই তাঁর উপরে অত্যাচার করছে ভূত। মারধর করার সাথে খাবারের থালা পর্যন্ত উড়ে গিয়ে অন্যত্র পড়ছে। গৃহবধূর কথাকে সমর্থন জানিয়ে কল্পনা দাসের মা মালতী দাস বলেন, জল, ভাত, মুড়ি যে কোনও খাবার খেতে বসলেই অত্যাচার শুরু হচ্ছে। সব কিছু ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে। মালতী দাসের দাবি, এদিন সকালেও খাবারের থালা মাথার উপর উলটে গিয়েছে কল্পনা দাসের। নিত্যদিনের এই ঘটনা তিনি নিজেও দেখেছেন বলে দাবি করেন তিনি৷ তবে চিকিৎসকের কাছে এখনও যাননি তাঁরা। মালতী দাস বলেন, কবিরাজের কাছে গিয়েছি। ওখানেই ঝাড়ফুঁক চলছে।
অবাক কাণ্ড ! হঠাৎ উধাও আস্ত স্কুল ভবন, চাঞ্চল্য শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী মহলে
দাস পরিবারে ঘটে যাওয়া অদ্ভুতুরে কান্ডের খবর ছড়িয়েছে এলাকাতেও। স্থানীয় বাসিন্দারাও শোনা কথা বিশ্বাস করে রয়েছেন আতঙ্কে৷ সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে কেউ বেরোচ্ছেন না বলেই দাবি এলাকাবাসীর। প্রতিবেশী অঙ্কিতা দাস বলেন, ভুতের উপর বিশ্বাস না থাকলেও চোখের সামনে এইসব দেখে শুনে আমরা সকলেই আতঙ্কে রয়েছি। প্রায় মাস খানেক ধরেই কখনও কল্পনার চিৎকার, কখনও আওয়াজ পাচ্ছি আমরা। নিজে চোখে থাল, বাটি পড়ে যেতে না দেখলেও ওদের পরিবারের পক্ষ থেকে এমনই জানানো হয়েছে। তারপর থেকেই সকলে আতঙ্কে রয়েছে। সন্ধ্যার পর বাড়িতেই থাকছে সকলে।
পাহাড়ে পা রেখেই শক্তি পরখ করবেন বিমল গুরুং, ৬ ডিসেম্বর জনসভা
ভূতূড়ে এই কান্ডকারখানা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের উত্তর দিনাজপুর জেলা কমিটির সহ সম্পাদক তথা হাতিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অনিরুদ্ধ সিনহা বলেন, এই ধরণের ঘটনা যখনই আমাদের কানে এসেছে , আমরা তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে পেয়েছি, পারিবারিক কলহ, জমি সংক্রান্ত বিবাদ, ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করা, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এইসব ঘটানো হয়। এগুলো পুরোটাই কুসংস্কার। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে বিশ্লেষণ করে আমরা বুঝতে পারি এগুলো কখনই ঘটতে পারে না। আমাদের একটি দল আগামীকালই ওই এলাকায় গিয়ে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখবে। তবে আমরা নিশ্চিত পুরোটাই কুসংস্কার। এর সত্যি আমরা উদ্ঘাটন করবো।