রায়গঞ্জ

জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ, বড় সিদ্ধান্ত নিলেন বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী

বিজেপির জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ উগরে দলীয় সমস্ত কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী।

 

 

Bengal Live রায়গঞ্জঃ জেলা নেতৃত্ব ও সাংসদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে দলের নানান কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী। রবিবার তাঁর নিজস্ব দপ্তরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানিয়েছেন বিধায়ক। মূলত জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কৃষ্ণ কল্যানী। মুষ্টিমেয় কয়েকজনকে নিয়ে দল চালাচ্ছেন জেলা সভাপতি, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছেন বলেও এদিন জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন কৃষ্ণ কল্যানী।

বেশ কিছুদিন থেকেই উত্তর দিনাজপুর
জেলা বিজেপির অন্দরে চাপা উত্তেজনা চলছিল। মূলত নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভ ছড়াচ্ছিল বিজেপির অন্দরে। এই নিয়ে জেলা কার্যালয়ে বিক্ষোভও দেখান বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। এদিকে শনিবার দিনই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। আর তারপরের দিনই বিজেপির জেলা নেতৃত্ব ও সাংসদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দলীয় সমস্ত রকমের কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা করলেন কৃষ্ণ কল্যানী। স্বভাবতই বিধায়কের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কী এবার রায়গঞ্জের বিধায়কও তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে পা বাড়াচ্ছেন? যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনও তাঁর সাথে কেউ যোগাযোগ করেন নি বলেই জানিয়েছেন কৃষ্ণ কল্যানী। তবে আগামীতে কোন পথে তিনি রাজনীতি করবেন সেই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিধায়ক।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী বলেন, জেলা সভাপতি নিয়ে বিধায়ক, অন্যান্য কার্যকর্তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকেই একটা মতবিরোধ চলছিল। রাজ্য নেতৃত্বের কাছেও বিষয়টি জানানো হয়। বিধায়কদের বৈঠকেও দলীয় নেতৃত্বের কাছে বিষয়টি তুলে ধরা হয়। তবে রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এখনও কোনও উত্তর না মেলায় এদিন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিধায়ক হিসেবে আমার দায়িত্ব আমি পালন করে যাবো। তবে দলীয় কোনও কার্যক্রমের সাথে আমি আর যুক্ত থাকছি না। বিধায়ক আরও বলেন, জেলা কমিটি গঠন করার আগে আমার সাথে বা সৌমেনের সাথে কোনও রকম আলোচনা করা হয়নি। জানানো পর্যন্ত হয়নি। কমিটি বদল করার দাবি জানানো হয়েছিল। সেটাও আজ পর্যন্ত হয়নি। মুষ্টিমেয় কয়েকজনকে নিয়েই জেলা সভাপতি ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছেন। এদিন রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিধায়ক। তিনি বলেন, উঁনাকে দেখা যায়? রায়গঞ্জের মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকেই এই ক্ষোভ রয়েছে যে, তাঁকে দেখা যায় না।

এই বিষয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, দলে ব্যক্তি আমি বলে কিছু নেই। সমষ্টিগত সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে দল চলে। সংগঠনের জন্য প্রত্যেকেই গুরুত্বপূর্ণ৷ তবে বিধায়ক ও আমার মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। আমি রাজ্যের সাথে এই বিষয়ে কথা বলবো। পাশাপাশি বিধায়কের সাথেও এই নিয়ে আলোচনা করবো।

Related News

Back to top button