হাই সুগার নিয়েও উচ্চ মাধ্যমিকে ৯৫%, সঙ্কটে রায়গঞ্জের মেধাবী ছাত্র
কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত রায়গঞ্জের মেধাবী ছাত্র সায়ন থোকদার। পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় উচ্চ শিক্ষা ও চিকিৎসার খরচ জোগার করতে হিমশিম অবস্থা সায়নের পরিবারের। সারকারের কাছে সাহায্যের আর্জি।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত রায়গঞ্জের মেধাবী ছাত্র সায়ন থোকদার। পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় উচ্চ শিক্ষা ও চিকিৎসার খরচ জোগার করতে হিমশিম অবস্থা সায়নের পরিবারের। সাহায্যের আর্জি রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যান দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর কাছে।
খুব অল্প বয়স থেকেই মধুমেহ রোগে আক্রান্ত রায়গঞ্জের কলেজপাড়ার বাসিন্দা সায়ন থোকদার। শায়নের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সপ্তম শ্রেণীতে পাঠরত থাকার সময়ই প্রথমবার এই রোগ ধরা পড়ে। এরপর থেকেই রোজ নিয়ম করে চারবার ইনসুলিন নিতে হচ্ছে তাঁকে।
সদ্যই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ পেয়েছে সায়নের। জানা গেছে, মোট ৪৭৭ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে সে। বিজ্ঞান বিভাগের এই ছাত্র অঙ্কে ১০০, ফিজিক্সে পেয়েছে ৯৬, কেমিস্ট্রিতে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৮৫। এছাড়াও বাংলা ও ইংরেজিতে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৯৫।
সায়নের বাবা, প্রদীপ থোকদার বলেন, ” আমি নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করি। যা আয় হয় তার বেশিরভাগটাই সায়নের চিকিৎসার জন্য খরচ হয়। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছেলের চিকিৎসা ও উচ্চ শিক্ষার খরচ জুগিয়ে সংসার চালানো দুঃসহ হয়ে উঠেছে।” সরকারি সাহায্য পেলে এই চরম সমস্যার সমাধান সম্ভব। সাহায্যের আর্জি জানিয়ে রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সায়নের মা সীমা থোকদার জানান, তাঁর ছেলে মেধাবী। কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই রোগ থেকে কোনও দিনই মুক্তি মিলবে না সায়নের। প্রতিমাসে কমপক্ষে ২৮০০-৩০০০ টাকা খরচ হয় ইনসুলিন সহ অন্যান্য ওষুধ ক্রয় করতে। ফলে ছেলের উচ্চ শিক্ষার জন্য তেমন ভাবে কোনও সাহায্যই ছেলেকে তাঁরা করতে পারছেন না। ছেলের ভবিষৎ নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তিনিও। সরকারি সাহায্যের জন্য রায়গঞ্জের বিধায়ক, সাংসদ,মন্ত্রী সহ রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানাবেন বলে জানিয়েছেন সীমা দেবী।
এদিকে সায়নের দাবী, সে অঙ্ক নিয়েই উচ্চ শিক্ষা চালিয়ে যেতে চায়। ভবিষতে তাঁর অধ্যাপক হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। কিন্তু বাধ সাধছে মধুমেহ। কেমেষ্ট্রি পরীক্ষার দিনও হাই সুগার থাকার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হতে হয় তাঁকে। ফলে নম্বর অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় কিছুটা কম এসেছে। সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্যের দাবী জানিয়েছেন সায়ন নিজেও। তাঁর বক্তব্য, ” সরকারি সাহায্য পেলেই চিকিৎসার খরচ জুগিয়ে উচ্চ শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। “