বিতর্ক শুরু হতেই উধাও নীল বাতি, কে খুলল? উঠল প্রশ্ন
ফের নীল বাতি গাড়ি নিয়ে বিতর্ক। রাতারাতি গাড়ি থেকে খুলে নেওয়া হলো নীল বাতি।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে থাকা নীল বাতি গাড়িকে নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে জটিলতা। বিতর্ক শুরু হতেই রাতারাতি গাড়ি থেকে খুলে নেওয়া হলো নীল বাতি। কে বা কারা গাড়ি থেকে নীল বাতি খুলে নিল তা নিয়ে ফের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। নতুন করে প্রশ্নও উঠেছে বেশ কিছু। ইতিমধ্যেই গাড়ির মালিকের হদিস মিলেছে। জানা গেছে, গাড়িটি কলেজপাড়ার বাসিন্দা অমল কান্তি রায় নামে এক ব্যক্তির। ওই ব্যক্তির দাবি, তিনি নবান্নের প্রাক্তন জয়েন্ট সেক্রেটারি ছিলেন, বর্তমানে তিনি কলকাতা কর্পোরেশনের হেয়ারিং অফিসার পদে রয়েছেন। ওই ব্যক্তির আরও দাবি, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিলিট স্কলার। যদিও এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ইনচার্জ কিছু জানেন না বলেই জানিয়েছেন।
বুধবার থেকেই রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে থাকা একটি নীল বাতি লাগানো গাড়িকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অজান্তে কে বা কারা ওই গাড়িটিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে রেখে গিয়েছে তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। রায়গঞ্জ থানার পুলিশকে এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হয় কর্তৃপক্ষের তরফে৷ এরপরেই গাড়িতে তালা লাগিয়ে যায় পুলিশ। এদিকে বুধবার দিনই জানা যায় গাড়ির মালিকের পরিচয়। কলেজপাড়ার বাসিন্দা অমল কান্তি রায় ওই গাড়ির মালিক বলে জানা যায়। তাঁর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নবান্নের প্রাক্তন জয়েন্ট সেক্রেটারি ছিলেন তিনি। বর্তমানে কলকাতা কর্পোরেশনের হেয়ারিং অফিসার পদে রয়েছেন তিনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায়, গাড়ি থেকে রাতারাতি উধাও হয়ে গিয়েছে নীল বাতি। কে বা কারা ফের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে গাড়ি থেকে নীল বাতি খুলে নিয়ে গেছে তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে, কেনই বা হঠাৎ করে নীল বাতি খুলে নেওয়া হলো গাড়ি থেকে? তবে কী অবৈধ ভাবে ওই গাড়িটিতে নীল বাতি লাগানো ছিল? এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
এই বিষয়ে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ইনচার্জ তাপস মহন্ত বলেন, আমরাও এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দেখি গাড়িটি থেকে নীল বাতি খুলে নেওয়া হয়েছে। কে বা কারা খুলেছে সেটা নিয়ে আমরাও ভাবছি। পাশাপাশি যিনি এই গাড়ির মালিক বলে দাবি করেছিলেন, তিনি আদৌও নীলবাতি পান কিনা তা নিয়েও এখন সন্দেহ দেখা দিয়েছে। আগামী সোমবার ডাকা হয়েছে উঁনাকে। বৈঠকের পরই গাড়িটি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে ওই ব্যক্তি রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিলিট স্কলার কিনা, সেই বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন তাপস বাবু।
এই বিষয়ে অমল কান্তি রায় বলেন, গাড়ির চালককে বলা ছিল, আমি গাড়িতে থাকলেই শুধু নীল বাতি লাগানী থাকবে। না থাকলে খুলে নিতে। সেই ভেবেই চালক খুলে নিয়েছে। তিনি কী আদৌও নীল বাতি ব্যবহার করতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তরে অমল বাবুর দাবি, কলকাতাতেও তিনি নীল বাতি লাগিয়েই চলাফেরা করেন। তবে নীল বাতি এই ভাবে কেউই ব্যবহার করতে পারেন না বলেও স্পষ্ট মন্তব্য করেছেন অমল কান্তি রায়।