করোনা আবহে কেমন হবে রায়গঞ্জের বড়দিন উদযাপন ? জানালেন ছটপড়ুয়া চার্চ কর্তৃপক্ষ
দুর্গাপূজা, কালীপূজা,ছট পূজার পর এবার করোনার থাবা বড়দিনে। ২০২০ সালের বড়দিন পালিত হবে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ দুর্গাপূজা, কালীপূজা, ছট পূজার পর এবার করোনার থাবা বড়দিনে। করোনার জেরে অনুষ্ঠানে কাটছাট রায়গঞ্জের ছটপড়ুয়া গীর্জায়৷ দর্শনার্থীদের জন্য গীর্জায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। মনখারাপ রায়গঞ্জ সহ জেলার হাজার হাজার দর্শনার্থীর। আগামী ২৫ শে ডিসেম্বর প্রভু যীশুর জন্মদিবস। এদিন গোটা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পরে ক্যারলের সুর, প্রভু যীশুর প্রতি সমবেত প্রার্থনা। তবে এবছর করোনা সংক্রমণের কারনে রায়গঞ্জের মিশন মোড়ে অবস্থিত চার্চে বড়দিন উদযাপনের কর্মসূচী সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চার্চ কর্তৃপক্ষ। নির্দেশ জারি করা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার। উৎসব সংক্ষিপ্ত হওয়ায় মনখারাপ ভক্তদের।
প্রতিবছর যীশুর জন্মদিন অর্থাৎ ২৫-শে ডিসেম্বর রকমারী আলোকসজ্জা, ক্রীসমাস ট্রী আর সুদৃশ্য সজ্জায় সেজে ওঠে রায়গঞ্জের চার্চ। রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ, ইটাহার সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ গীর্জায় উপস্থিত হন। প্রার্থনা করেন সকলে। চার্চ প্রাঙ্গনের মেলায় হাজির হন আট থেকে আশি।
কিন্তু ২০২০ সাল কেড়ে নিয়েছে সমস্ত রকমের আনন্দ উল্লাস। কোভিড সংক্রমণ এবছর বদলে দিয়েছে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ। অগনিত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে সারাদেশে আনলক পর্বে একাধিক বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবার গীর্জায় প্রচলিত উৎসব স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
গীর্জার ফাদার নাজারুস হেমব্রম বলেন,” কোভিডের কারনে দর্শনার্থীদের এবারে গীর্জার ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে, মাস্ক পরে বাইরে থেকে প্রভু যীশুর জীবনী দেখতে পাবেন সকলে। এবছর মেলা ও অন্যান্য অনুষ্ঠান ও বন্ধ রাখা হয়েছে।” উৎসবে কাটছাঁট করা হলেও প্রভু যীশুর জন্মদিন পালনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন গীর্জা কর্তৃপক্ষ। সাজিয়ে তোলা হচ্ছে প্রার্থনা ঘর সহ গীর্জার অন্যান্য প্রান্ত। তবে বর্ণময় উৎসবে এবছর যোগ দিতে না পারায় মনখারাপ সকলের।