হাতি-মানুষের সংঘাত এড়াতে সচেতনতা, হস্তির নড়ান হস্তির চড়ান দেখল পড়ুয়ারা
হাতি-মানুষের সংঘাত এড়াতে সচেতনতা, হস্তির নড়ান হস্তির চড়ান দেখল পড়ুয়ারা
Bengal Live রায়গঞ্জঃ বিশ্ব হস্তি দিবসের প্রাক্কালে হস্তির নড়ান, হস্তির চড়ান দেখল কলেজ পড়ুয়ারা। বন দপ্তরের উদ্যোগে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারিতে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক হস্তি দিবস। এই উপলক্ষ্যেই এদিন একদল কলেজ পড়ুয়া এবং উপস্থিত অন্যান্য পর্যটক ও দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হয় হাতির চলাফেরা, খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে বাস্তুতন্ত্রে ও প্রাকৃতিক পরিমণ্ডলে তাদের গুরুত্ব এবং প্রয়োজন সম্পর্কিত নানা তথ্য। মানুষ ও হাতির সংঘাত যাতে কমানো যায়, তার জন্যই বন দপ্তরের তরফে এই সচেতনতা শিবিরের উদ্যোগ বলে জানান বনপাল ধর্মদেব রাই।
বর্তমানে বেঙ্গল সাফারিতে দুটি হাতি রয়েছে। একজন লক্ষ্মী এবং অপরজন উর্মিলা। সোমবার বিশ্ব হস্তি দিবস। তাই স্বাভাবিক ভাবেই অন্য দিনের তুলনায় এদিন তাদের খাতির-যত্নের মাত্রা ছিল একটু বেশি এবং বিশেষ। কলেজ পড়ুয়াদের সামনেই লক্ষ্মী ও উর্মিলাকে খাবার হিসেবে দেওয়া হয় কলাগাছ, চাল সহ বিভিন্ন রকম ফল। পড়ুয়াদের চোখ জুড়িয়েছে হস্তিস্নান দেখেও। সব মিলিয়ে গজগামিনীদের দিনযাপন দেখে আহ্লাদে আটখানা তরুণ-তরুণীরা। এই আনন্দ আর মজার ফাঁকেই তাদের সঙ্গে আলোচনা হল হাতি ও মানুষের সংঘাতের কারণ, ফল ও প্রতিকারের উপায় নিয়ে।
বনপাল ধর্মদেব রাই বলেন “দিন দিন মানুষ আর হাতির সংঘাত বেড়ে চলেছে। হাতির চলার রাস্তায় গড়ে উঠেছে ঘড়বাড়ি। তাদের চলার পথে বাধার সৃষ্টি হয়েছে৷ তাই সাধারণ মানুষকে হাতির গুরুত্ব বোঝাতে নানা উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে অবিলম্বে আরও সচেতনতা শিবির করা হবে।”