নববধূকে শ্বশুর বাড়িতে ঢুকতে বাধা, ভাঙচুর পাত্রের বাড়ি,ঘটনাস্থলে রায়গঞ্জ পুলিশ
নববধূকে শ্বশুর বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো রায়গঞ্জের বাজিতপুর গ্রামে। ঘটনাস্থলে পুলিশ। খোঁজ নেই পাত্রের।
মুখে নেই মাস্ক, কান ধরে উঠবস করালো প্রশাসন
Bengal Live রায়গঞ্জঃ নববধূকে শ্বশুর বাড়িতে ঢুকতে বাধা। তীব্র উত্তেজনা রায়গঞ্জের বাজিতপুরে। ভাঙচুর করা হলো ছেলের বাড়ি,মোটর বাইক। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। এদিকে মেরে ফেললেও নববধূকে মেনে নেওয়ে হবে না বলে সাফ মন্তব্য ছেলের মায়ের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ থানার বাজিতপুর গ্রামের বাসিন্দা টিঙ্কু দাস তারই প্রতিবেশী চাঁদমনি দাসকে মাস ছয়েক আগে বাড়ির অমতে এক মন্দিরে বিয়ে করে। এরপর থেকে রায়গঞ্জ শহরে ভাড়া বাড়িতে থাকত নব দম্পতি। বেসরকারি বি এড কলেজের অস্থায়ী কর্মচারী টিঙ্কু কাজে আসার নাম করে নিজের বাড়িতে রোজই আসা-যাওয়া করত। তবে কোনওদিনই তাঁর স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন নি তিনি৷
অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার একই পরিবারের চার সদস্য
নববধূ চাঁদমনির অভিযোগ, দিনের পর দিন আমার খাওয়াদাওয়ার কোনও রকম বন্দবস্ত করছিল না টিঙ্কু। শাস্ত্রমতে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিল সে। তবে কোনওদিনই বাড়িতে নিয়ে আসেনি৷ তাই বাধ্য হয়ে এদিন শ্বশুর বাড়িতে চলে আসি। তবে আমাকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।
এদিকে এই খবর জানাজানি হতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন গ্রামের বাসিন্দারা৷ উত্তেজিত হয়ে ওঠেন চাঁদমনির পরিজনেরাও। ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে বাধা পেতেই শুরু হয় বচসা, সেখান থেকে হাতাহাতি। বাড়ির দরজা বন্ধ করে দিলে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। শুরু হয় ছেলের বাড়িতে ভাঙচুর। ছেলের মা কনিকা দাস স্পষ্ট ভাষাতেই জানিয়ে দেন মেরে ফেললেও চাঁদমনিকে পুত্রবধূ হিসেবে ঘরে তুলবেন না তাঁরা। এদিকে সকাল থেকে পাত্র টিঙ্কু দাসের কোনও খোঁজ মেলেনি বলে জানা গেছে।
কোভিড আপডেটঃ উত্তর দিনাজপুরে নতুন করে আক্রান্ত ১৯৭, সুস্থ ১০১, রায়গঞ্জে আক্রান্ত ৫৪ জন