রায়গঞ্জ

প্রাচীন গাছতলায় চণ্ডী মন্দির, বিজয়ার পর এখানেই উৎসব রায়গঞ্জবাসীর

প্রাচীন গাছতলায় চণ্ডী মন্দির। এখানে মা চণ্ডী রূপে পুজিত হন। তবে দুর্গার সাথে মহিষ অথবা অসুর কারোর দেখা মেলে না। দশমীর রাতে মূল পূজা হয়। এরপর সারা বছর মন্দিরে মূর্তি রেখে মায়ের পূজা চলে ।

Bengal Live রায়গঞ্জঃ দুর্গাপূজার আমেজ শেষ হতে না হতেই চণ্ডী পূজায় মগ্ন উত্তর দিনাজপুর জেলার মানুষ। একদিকে যখন দশমীর সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছে সাধারণেরা ঠিক সেই সময় রায়গঞ্জ ব্লকের খাদিমপুরের মানুষ চণ্ডীপূজার আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। প্রায় ৫ বিঘা জমির ওপর এক প্রাচীন গাছের তলায় একটি ছোট্ট মন্দির। সেখানেই দেবীর আরাধনা উৎসবের রূপ নিয়েছে। পূজাকে কেন্দ্র করে বসেছে মেলাও।

প্রতি বছরই দশমীর রাত থেকে এই পূজা শুরু হয় ওই গ্রামে। গ্রামবাসীরা জানান, বছর শুরুর সাথে সাথেই যেমন আমরা দুর্গাপূজার অপেক্ষায় দিন গোনা শুরু করি তেমনই এই গ্রামের মানুষেরা দুর্গাপূজার পাশাপাশি চণ্ডী পূজার অপেক্ষা করে থাকেন। নতুন জামা কাপড় ইত্যাদি সব কিছুই অপেক্ষা করে চণ্ডী মায়ের পূজার জন্য। দশমীর দিন থেকে এই গ্রামে শুরু হয় মা বলাইচণ্ডী রূপী দুর্গার পূজা। নিজ পরিবারের মঙ্গল কামনার জন্য এই চারদিন ধরে খাদিমপুর গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে চলে নিরামিষ খাওয়া দাওয়া।

গ্রামের বাসিন্দা ফেরু বর্মন জানান, দেবী দুর্গা এখানে মা চণ্ডী রূপে পুজিত হন। তবে দুর্গার সাথে মহিষ অথবা অসুর কারোর দেখা মেলে না। দশমীর রাতে মূল পূজা হয়। এরপর সারা বছর মন্দিরে মূর্তি রেখে মায়ের পূজা চলে । পূজা উদ্যোক্তারা আরও জানান, এই পূজা কবে শুরু হয়েছিল তা সঠিক ভাবে না বলা গেলেও আনুমানিক ৫০০ বছরের বেশি সময় ধরে মা বলাইচণ্ডী রূপে এখানে দেবী দুর্গার পূজা হয়ে আসছে। মা বলাইচণ্ডী রূপী দুর্গার পূজাকে কেন্দ্র করে রায়গঞ্জ ও হেমতাবাদ গ্রামাঞ্চলের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা চোখে পড়ার মত।

খাদিমপুরের বাসিন্দা তথা পূজা কমিটির কর্মকর্তা সুরেন্দ্র নাথ বর্মন জানান, কত বছরের পুরানো এই পুজো তা কেউই বলতে পারেনা। আনুমানিক পাঁচশো বছর ধরে এই একই নিয়মে দশমীর দিনেই শুরু হয় এখান দেবী দুর্গার পুজা।

শারদীয়া উৎসবের শেষে যখন বিষাদের সুর বেজে উঠেছে ঠিক তখনই রায়গঞ্জ শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে খাদিমপুর গ্রামে দেবীর আগমনে আনন্দে মেতে উঠেছে গ্রামবাসীরা।

Related News

Back to top button