Bengal Live পোর্টজিনঃ পোর্টজিন কি? পোর্টজিন একটি অনলাইন ম্যাগাজিন। প্রতি সপ্তাহের রবিবার এটি বেঙ্গল লাইভের (bengallive.in) এর পোর্টজিন বিভাগ থেকে প্রকাশিত হয়।
এই অতিমারীর সময় আমাদের কেবলমাত্র ভয়-ভীতি ,অনুকম্পায় দেখালো না। আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে দিলো। আমাদের শিখিয়ে দিলো আমরা মানুষ আমরা কখনো একা বাঁচতে পারি না। সবাইকে নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। এই পৃথিবীটা কেবল আমার একার নয় আমাদের সবার। তাই আমরা সবাই মিলে এই পৃথিবীটাকে আরও সুন্দর করতে পারি। আমাদের পাশের বাড়ির অনিতা বৌদি আর দীপান্বিতা কাকিমার মধ্যে দীর্ঘদিনের কোন যোগাযোগ নেই। এমনকি একই পাড়াতে বসবাস করা সত্ত্বেও তারা পরস্পরকে একেবারেই সহ্য করতে পারে না। উভয়ের মধ্যেই একটা চাপা প্রতিদন্ধিতা সবসময় চলতে থাকে। এমনকি পাশের বাড়ির অশ্বিনী বাবু দীপাঞ্জন দাকে তো একেবারেই পছন্দ করেনা। টেলিফোন বিল জমা দিতে যাওয়ার সময় বা ইলেকট্রিক বিল জমা দিতে যাওয়ার সময় যদি এক লাইনে দাঁড়াতে হয় তাতেও তারা নারাজ। শ্যামলী কাকিমা আর অর্চনা পিসীমার মধ্যে তো খুঁটিনাটি প্রায় লেগেই থাকে এ আর নতুন কিছু নয়। এক দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দা হয়েও সবাই যেন কেমন বিক্ষিপ্ত কেউ কারো উপস্থিতি মন থেকে মেনে নিতেই পারে না। এরা সবাই ভুলে গিয়েছিল আসল বাঁচার মানেটা। দীর্ঘদিন লকডাউনে ঘর বন্দী হয়ে থাকাযর পর সবাই যখন হাঁপিয়ে উঠেছিল, বিকেলবেলার এক টুকরো আকাশ তাদের মধ্যে ব্যবধানটা কোথায় ঘুচিয়ে দিল। সেদিন দেখি সবাই যে যার অ্যাপার্টমেন্টের ছাদে ঘোরাঘুরি করছিল প্রত্যেকেই পরস্পরের সঙ্গে হেসে কুশল মঙ্গল জিজ্ঞেস করার সঙ্গে সঙ্গে এটা জানতে চাইল বাড়ির সকলে কেমন আছে?কোথাও অতিমারীর এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি দূরে চলে যাওয়া মানুষগুলোকে বুঝিয়ে দিল মানুষ কখনো একা বাঁচতে পারে না। একা বাচা যায়না। আর প্রকৃত অর্থেই একা বাঁচা কে বাঁচা বলে না।
কীভাবে লেখা পাঠাবেন?
নীচে উল্লিখিত হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার কিংবা ইমেল আইডিতে লেখা পাঠাতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার~ 9635459953
ইমেল আইডি~ bengalliveportzine@gmail.com
লেখার সঙ্গে নিজের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর এবং একটি ছবি পাঠানো আবশ্যক।
ভ্রমণ কাহিনীর সঙ্গে নিজের তোলা দুটো ছবি পাঠাতে হবে।