“ক্ষীর মালাই” লিখেছেন ঈশিতা ঘোষ
“আসলি ক্ষীর মালাই একবার জো খায়েগা
বারবার ও খানা চাহেগা”।
তখন ঘড়িতে একটা কিংবা দুটা বাজতে চলেছে,
আর মা কেবল এক দলা ভাত আমার মুখে দিয়েছে।
ওমনিই এমন খানা স্লোগান দিতে দিতে ক্ষীর মালাই কাকু পড়ায় ঢুকেছেন,
সাথে পাঁচ টাকার একটা পাঁচ টাকার একটা অনবরত বলেই চলছেন।
মনটা বড্ড যে তাই ওই ক্ষীর মালাইয়ের জন্য উচাটন করছে,
তবে কিছুতেই তো পারছি না আর ওই ভাত ছেড়ে উঠে আসতে।
এইদিকে মা কিন্তু বুঝে গিয়েছে আমার মনের ব্যথা
তাই একটাও না বলে কোনোরকম বাড়তি কথা।
দিয়ে ফেলে আমার হাতে পাঁচটি টাকা।
আর আমি ছুটে যাই সেই মালাই কাকুর কাছে,
যার বাক্সে এত এত ক্ষীর মালাইয়ের সম্ভার আছে।
সত্যিই করনেটোর ভিড়ে সেই ক্ষীর মালাইয়ের দিনগুলো আজ আর নেই,
কোথায় হারিয়ে গেছে সোনালী দুপুরগুলো সেই
আজ আর নেই!