পোর্টজিন

সুরে ছন্দে রঙিন আগমনী সন্ধ্যা ইসলামপুরে

Nblive ইসলামপুরঃ অনিন্দিতা বিশ্বাসের দুর্গাশ্লোক দিয়ে যেন অজস্র শব্দ কথকথায় একটা আবহ ভেসে এলো মঞ্চ থেকে।কাজী নজরুল এর আগমনী দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ইসলামপুর নেতাজী সুভাষ মঞ্চে অনুষ্ঠান শুরু আবৃত্তি পরিষদের।বাচিক শিল্পের জগৎ থেকে একের পর এক ভেসে উঠল অজস্র কবিতা।

মুকাভিনয়ের মাধ্যমে অন্তরীক্ষ রায়ের লিচু চোর কবিতার সঙ্গে অসাধারণ উপস্থাপনা। নজরুলের ওই কবিতা আবৃত্তিতে ছিলেন সমীর দাস।তিন পাহাড়ের গানে দুই শিল্পীর কবিতা অসাধারণ।কবিতার সঙ্গে কৃষ্ণা ঝা এর সুর মিলে মিশে একাকার।

সঞ্চারি,বাসন্তীদের দুর্গা আবাহনীতে যেন উৎসব এনে দিল। আসুন রাজা ,অনুষ্ঠানের একটি নতুন প্রেক্ষাপট।কচিকাঁচাদের নিয়ে এক সুন্দর অনুষ্ঠান।নির্মাণ,সৃজনদের আগমনী কেন্দ্রীক সমবেত কবিতা যেন পূজার আবহকে আরও কাছে টেনে নিয়ে আসে।শিশুদের দ্বারা পরিবেশিত দুই শরৎ ছড়াটি বেশ মনোগ্রাহী।

সুকান্তের কবিতা নিয়ে মঞ্চে তিন বাচিক শিল্পীর পরিবেশনা সুন্দর।তাল ,লয় আর ছন্দে খুদেদের ‘একদিন ছুটি পেলে’ যেন অনুষ্ঠানে ছন্দ নিয়ে এলো।এরই মাঝে কচিকাঁচাদের ‘আয়রে ছুটে আয় পুজোর গন্ধ এসেছে’ এই গানের রেশ মিশে গেল অন্যান্য শিল্পীদের কবিতায়।’পুজো এলো ওই’ দুই শিশু শিল্পীর আবৃত্তি সুখশ্রাব্য।রাজশ্রী মন্ডল ও সংঘমিত্রা সাহাদের দেশপ্রেম এর কবিতা বেশ পরিশীলিত।মল্লিকা সাহার একক কবিতায় একজন মায়ের অনুভূতি ধরা পড়লো দর্শক হৃদয়ে।শিশুদের সত্যেন্দ্র নাথ দত্তের ‘দূরের পাল্লা বেশ জমজমাট।কর্ণ কুন্তী সংবাদ এই কাব্য নাটিকায় সংস্থার অধ্যক্ষ অনিন্দিতা বিশ্বাস ও বিশ্বজিৎ বিশ্বাসদের যেন এক অনন্য উপস্থাপনা নন্দিত হলো সকলের মননে।তবে দীর্ঘ কয়েক দশক পরে বিশ্বজিৎ বিশ্বাসকে দেখতে পেলেন দর্শকরা।

অঞ্জনা দাসের নৃত্যের ভাবনা বেশ সুন্দর। ‘আমিই সেই মেয়ে’ এই কবিতার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।অনুষ্ঠানটিকে সুন্দর আঙ্গিকে সঞ্চালনা করেন বিক্রম দাস।সমগ্র অনুষ্ঠানটি তবলায় ও অর্গানে বাড়তি মাত্রা এনে দেন প্রবাল দে সরকার ও শেখর কর্মকার।

Related News

Back to top button