গণনাট্য সংঘের ৫০ তম রাজ্য সম্মেলন, সংস্কৃতির আলোয় ভাসল কল্যানী
Nblive ওয়েব ডেস্ক : পিউপিল থিয়েটার ইউনিট ওরফে পি পি টি-র প্রতিষ্ঠাতা প্রখ্যাত গণশিল্পী রত্না ভট্টাচার্য নামাঙ্কিত মঞ্চে ভারতীয় গণনাট্য সংঘ, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির পঞ্চদশ রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন প্রাবন্ধিক শমীক বন্দোপাধ্যয়।
বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে ৩৪৭ জন শিল্পী, সাহিত্যিক, নাট্যকার, অভিনেতা, নৃত্য শিল্পী, জাদুশিল্পী সংগঠক প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশ নেন।
হাওড়া, হুগলী, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতার ৬৮ জন শিল্পীর অনবদ্য নাচ, গান, কবিতার ছন্দে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়ে উঠেছিল প্রাণবন্ত।
সৃজন হোক একজন গণনাট্য শিল্পীর পরিচয় – এই শপথ নিয়ে সম্মেলনে ২৯ পাতার লিখিত খসড়া প্রতিবেদন পেশ করে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সম্পাদক অসীম মুখার্জী।
মানুুষের জীবনযন্ত্রণা, ধর্মান্ধতার প্রতিবাদ, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সম্প্রীতির লক্ষ্যে নাটক প্রযোজনা, কৃষিজীবীর ফসলের ন্যায্য মুল্যের দাবী নিয়েই শিল্প সৃষ্টির অঙ্গীকার করেন সংঠনের সদস্যরা। খসড়া প্রতিবেদনের উপর দুদিন ধরে চলে ৭৪ জন প্রতিনিধির আলোচনা সমালোচনা। সম্মেলনকে ঘিরে কল্যানী শহরে তিনদিন ব্যাপী ৪টি মঞ্চে সাষ্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ঋত্বিক সদনে দুদিনের সম্মেলনে প্রাক্তন উপাচার্য শুভঙ্কর চক্রবত্তী, অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়, চলচ্চিত্র শিল্পী পরাণ বন্দোপাধ্যায়, পাপিয়া অধিকারী, গণশিল্পী গোপাল অধিকারী, প্রখ্যাত শিল্পী শুভজিৎ নন্দী মজুমদার, লোকশিল্পী শুভেন্দু মাইতি সহ আকাশবাণী, দূরদর্শন শিল্পী নক্ষত্রদের উপস্থিতি ছিল নজর কারা।
আগামী তিন বছরের জন্য সংগঠন পরিচলানা করতে ৮২ জনের রাজ্য কমিটি গঠিত হয়েছে। গণসঙ্গিত শিল্পী চিকিৎসক ডা. হিরন্ময় ঘোষাল সভাপতি এবং গোরা ঘোষ রাজ্য সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। অঞ্জন বেরার প্রকাশনায় গণনাট্য সংঘের ৭৫ বছরের সূচনায় “গণনাট্য সংঘের ইতিহাস” বইটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শমীক মজুমদার।