সর্দি কাশি থেকে ত্বকের সমস্যা, রেহাই পেতে জেনে নিন আদার উপকারিতা
দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন রান্নায় আদাকে মশলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকি। তবে রান্নার পাশাপাশি আদা শরীরের জন্যও ভীষণ উপকারী।
Bengal Live লাইফস্টাইলঃ এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, যা শরীরের রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করে। সেই সঙ্গে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্ক, ক্রোমিয়াম, লবণ, পটাশিয়ামের মতো উপাদান। রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা ও গুনাগুন।
আদা-রসুন-হলুদঃ করোনা কেন, হরেক রোগেরই যম, শুধু ব্যবহার জানতে হয়
গুনাগুনঃ
- জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি,শরীরের যে কোন ব্যথা ইত্যাদিতে আদা খুবই উপকারী। ঋতু পরিবর্তনের সময় অ্যাজমা, মাইগ্রেনের মতো সমস্যা প্রায়শই দেখা যায়।কারণ আদায় রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা শরীরের তাপমমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- আদাতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক যা শরীরের রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। আদা লিভার ও ব্লাডে কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কম রাখতে সাহায্য করে।
- অতিরিক্ত ওজন ঝরাতেও আদা সাহায্য করে। কারণ, এতে থাকা টিস্যু বেশি পরিমানে এনার্জি ব্যবহার করে। যার ফলে বেশি ক্যালরি বার্ন হয়।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর আদা ক্যান্সার ও হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বিশেষত ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রতিরোধে আদা ভীষণ উপকারী।
একটিও ভোট নয় বিজেপিকে, শহরজুড়ে পড়ল পোস্টার
- আদা হজমে সাহায্য করে। গ্যাস্ট্রিক সমস্যাতেও আদা বেশ সহায়ক।
- আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা সারা দিনের খাবারে স্বল্প পরিমাণ আদা রাখার চেষ্টা করুন।এতে আর্থ্রাইটিসের সমস্যা ধীরে ধীরে কমবে। এছাড়াও আর্থ্রাইটিসের ব্যথা নিরাময়ে আদার তেল বা জিঞ্জির অয়েল খুব উপকারী।
- আদা শরীরের অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দূর করে।
- আদা প্রাকৃতিক ব্যথানাশকের কাজ করে। বাতজনিত রোগ ও মাথাব্যথায় আদা বেশ কার্যকর।
- আদা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আদার নির্যাস শরীরের কোষে গ্লুকোজের শোষণক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে করে ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে দীর্ঘমেয়াদে সুগারের স্তর ঠিক রাখে।
- আদায় থাকা ভিটামিন-ই, ভিটামিন-এবি ও সি চুল পড়া রোধ করে। নিয়মিত কাঁচা আদা খাওয়ার অভ্যাস করলে চুলের গোড়া মজবুত হয়। এটি ত্বকের জন্যও বেশ উপকারী। নিয়মিত আদা খেলে ত্বকের ব্রণর সমস্যা মেটে এবং ত্বক পরিষ্কার ও মসৃণ থাকে।
বিছানা থেকে নামতেই চোখে অন্ধকার, মাথায় চক্কর, কী করবেন ?
তবে কিছু ক্ষেত্রে এর জন্য সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন।
যেমনঃ কারো গলস্টোনের সমস্যা থাকলে দিনে নির্দিষ্ট পরিমাণ আদা খাওয়াই ঠিক। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
এছাড়াও, গর্ভাবস্থায় সারা দিনে ২৫০ গ্রামের বেশি আদা খাওয়া ঠিক নয়। এ ক্ষেত্রেও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া আবশ্যক।