আদা-রসুন-হলুদ। তিনটিকেই গ্রামবাংলার মানুষ বলেন মহৌষধি। আগে তো মা-দিদিমারা এসব দিয়েই রোগ সারাতেন। পুরাতনী সেই চিকিৎসা পদ্ধতি এখনও প্রচলিত।
ফের বন্যা পরিস্থিতি উত্তর দিনাজপুরে, জলমগ্ন বহু এলাকা, পরিদর্শনে জেলাশাসক
Bengal Live লাইফ স্টাইলঃ করোনা আবহে আমরা সকলেই দীর্ঘদিন ঘরে বন্দী। তবে ধীরে ধীরে সমস্তকিছু আবার খুলতে শুরু করেছে। ফলে বাজারঘাটে লোকজনের ভিড় যেমন বাড়ছে, তেমনি মেলামেশা বা পরস্পরের সংস্পর্শে আসার মাত্রাও বাড়ছে। আর ঠিক এখান থেকেই কেউ কেউ ভাবছেন, করোনা তো এখনও বিদায় নেয়নি ! তাহলে ? কতটা নিরাপদ আমরা ? এরই মধ্যে ঋতু পরিবর্তনের কারণে ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি, জ্বর। ফলে এই সিজনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবেন কীভাবে ?
বিছানা থেকে নামতেই চোখে অন্ধকার, মাথায় চক্কর, কী করবেন ?
আপনি জেনে অবাক হবেন, আপনি যে সমস্ত খাদ্য মশলা হিসেবে গ্রহন করেন, যেমন আদা, রসুন, হলুদ– এগুলোই আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম। হেঁশেলের এই মশলাই বিভিন্ন রকম রোগের হাত থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে। তবে চলুন দেখে নিই এই সমস্ত স্বাদ বাড়ানো মশলাগুলো কী করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে।
১) আদাঃ-
চায়ের সঙ্গে আদা মিশিয়ে খেলে সেটি আমাদের সর্দি কাশি সহ বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। তার সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিলে সেটা মহৌষধির মতো কাজ করে।
. আদা আমাদের রক্ত চলাচল ঠিক রাখে।
. গ্যাস অম্বলের সমস্যা থেকে আমাদের দূরে রাখে।
. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ইলিশের অনেক পদই তো রেঁধেছেন, ঢাকাই ভুনা ইলিশ খেয়েছেন ? শিখে নিন রান্না
২) রসুনঃ-
. রসুন একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ মশলা। এর প্রতিটি কোয়ায় থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। অর্থাৎ এটি প্রতিদিন গ্রহন করলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
. রসুন আমাদের শরীরের মেটাবলিক রেট কন্ট্রোলে রাখতে সাহায্য করে।
. পরিপাক ক্রিয়া সঠিক রাখে। হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
. রসুন রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
গরম জল পান করলে কী কী উপকার হয় ?
৩) হলুদঃ-
. হলুদ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর মধ্যে অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান রয়েছে।
. সর্দি কাশি কিংবা জ্বর কমাতেও হলুদের ভূমিকা অপরিসীম।
. এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
. দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে সেটি আমাদের শরীরকে বিভিন্ন সর্দি-কাশি জনিত ভাইরাস থেকে রক্ষা করে।